পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে গোপীবল্লভপুর থেকে হাতিবাড়ি-জামশোলা, বহড়াগোড়া হয়ে ঝাড়খণ্ডের টাটা যাচ্ছিল বাসটি। গোপীবল্লভপুরের বংশীধরপুর এলাকায় সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ টাটাগামী বাসটিকে চাঁদার জন্য আটকায় স্থানীয় লক্ষ্মীপুজো কমিটির কিছু যুবক। বাসের চালকের কাছে ৬০০ টাকা চাঁদা দাবি করে কয়েকজন যুবক। কিন্তু চালক জানিয়ে দেন, এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। একশো টাকা তিনি দিতে পারবেন। তারপরই বাসটিকে ৯ নম্বর রাজ্য সড়কের একপাশে দাঁড় করানোর কথা বলে চাঁদা আদায়কারীরা। বাস চালকের অভিযোগ, রাস্তার ধারে বাসটিকে দাঁড় করানোর সময় কয়েকজন যুবক তেড়ে আসে। হঠাৎ মারধর করে ও গেঞ্জি ছিঁড়ে দেয় তারা। ঘটনার পর বাসচালক ত্রিভঙ্গ বিশুই বাসটিকে বংশীধরপুর এলাকা থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে বীরসাচকে নিয়ে এসে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে দেন। যার ফলে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে যায়। চালক বলেন, আমি ১০০ টাকা দিতে চাইলেও তারা ৬০০ টাকা দাবি করে। চাহিদামতো চাঁদা না পেয়ে কয়েকজন আমাকে মারধর করে, গেঞ্জি ছিঁড়ে দেয়।
প্রসঙ্গত, ঝাড়গ্রাম জেলাজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় পুজোর সময় চাঁদার জুলুম চলে। সম্প্রতি, ঝাড়গ্রাম শহরে দাবিমতো চাঁদা না দেওয়ায় এক তেল ট্যাঙ্কারের চালককে মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ওই ঘটনার পরেও ক্ষুব্ধ ট্যাঙ্কার চালক রাস্তা অবরুদ্ধ করে দিয়েছিলেন। পরে পুলিসের হস্তক্ষেপে সমস্যা মিটেছিল। বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, পুজোর মুখে বিভিন্ন জায়গায় প্রতিদিনই ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত চাঁদার জুলুম চালাচ্ছে একদল যুবক। টাকা না দিলে গাড়ি চালকদের হেনস্তা ও গালিগালাজ করা হচ্ছে। এদিনের ঘটনার খবর পেয়ে গোপীবল্লভপুর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে যায়। পুলিসের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে ও যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, এদিনের ঘটনা নিয়ে বাসের চালক কোনও লিখিত অভিযোগ জমা দেননি। ঝাড়গ্রামের পুলিস সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠোর বলেন, আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।