কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকার বাসিন্দা কিশোর দাস কালনার মধুবন এলাকায় শ্বশুরবাড়ি আসেন। জ্বর হওয়ায় ১০ অক্টোবর বিকেলে তাঁকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার গভীর রাতে হঠাৎ অবস্থার অবনতি হয়। অভিযোগ, সেই সময় চিকিৎসকদের বারবার ডাকলেও না আসায় তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই মৃতের আত্মীয় পরিজনরা চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এই ঘটনায় রোগীর পরিবারের সঙ্গে অন্যান্য রোগীর পরিবারের লোকেরাও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। খবর পেয়ে হাসপাতালের পুলিস ক্যাম্প থেকে পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়াররা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মৃতের শ্বশুর কৃষ্ণকুমার মণ্ডল বলেন, আমি নিজে ডাক্তারবাবুকে ডাকতে গিয়ে দেখি তাঁরা টিভি দেখছেন। হাতে পায়ে ধরে অনুরোধ করলে চিকিৎসক জবাব দেন ওষুধ বলা আছে নার্স দিয়ে দেবেন। ভোরের দিকে ফের চিকিৎসককে ডাকি। তখন চিকিৎসা শুরু করলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই জামাই মারা যায়। চিকিৎসায় গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই বলেন, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে একজন ভর্তি হয়েছিলেন। রবিবার ভোরে মারা গিয়েছেন। চিকিৎসার গাফিলতির কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখব।