কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রায় ২৭ বছর আগে স্বরডাঙা গ্রামে প্রথম বারোযারি লক্ষ্মীপুজোর সূচনা করে জনকল্যাণ সংঘ। গোটা গ্রামে সেই সময় একটি মাত্র বারোয়ারি পুজো হতো। তার চার বছর পর সবুজ সংঘের লক্ষ্মীপুজো শুরু হয়। তারপরে অবশ্য একে একে আরও চারটি বারোয়ারি পুজো প্রচলন হয়। তারপর থেকেই ওই এলাকার প্রধান উৎসব হয়ে ওঠে লক্ষ্মীপুজোই। এমনকী এখানকার পুজোতে বর্তমানে থিমের ছোঁয়াও লেগেছে। পুজো ঘিরে এই গ্রাম ছাড়াও আশেপাশের গ্রামের বাসিন্দারাও উৎসবে মেতে ওঠেন।
এবছর স্বরডাঙার ধর্মতলা আমরা কজন পুজো কমিটি বিশেষ থিমের আয়োজন করেছে। তাদের পুজোর বাজেট প্রায় ২ লক্ষ টাকা। এছাড়া ইয়ংস্টার ক্লাব, স্বামী বিবেকানন্দ ক্লাব, শ্রীশক্তি ক্লাবও জাঁকজমকতার সঙ্গে পুজোর আয়োজন করেছে। প্রসঙ্গত, পূর্বস্থলীর স্বরডাঙা গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দারা পূর্ববঙ্গীয়। প্রায় পাঁচ, ছয় দশক আগে তাঁরা এদেশে এসে বসবাস শুরু করেন। অধিকাংশ মানুষই চাষ আবাদের পেশায় যুক্ত। পূর্ববঙ্গের ধাঁচে এখানেও ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতেন ওঠেন তাঁরা।
স্বরডাঙা জনকল্যাণ সংঘের সম্পাদক জয়দেব দাস বলেন, ১৯৯২ সালে আমাদের ক্লাবের তরফে প্রথম বারোয়ারি লক্ষ্মীপুজো করা হয়। এই পুজোই আমাদের গ্রামের সব থেকে বড় উৎসব। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য প্রসেনজিৎ দাস বলেন, স্বরডাঙা কালাজ্বরের প্রতিষেধক অবিষ্কারক উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারীর পৈতৃক গ্রাম হিসেবে পরিচিতি। দূর দূরান্তের দর্শনার্থীরা এই গ্রামের বারোয়ারি লক্ষ্মীপুজো দেখতে আসেন। পাশাপাশি নিকটবর্তী বিশ্বরম্ভা খাসপাড়া সর্বজনীন, মল্লিকপাড়া সর্বজনীন, সিহিপাড়া সর্বজনীন ও ঋষি সর্বজনীন লক্ষ্মীপুজোতেও দর্শনার্থীদের ভিড় হচ্ছে। এদিকে লক্ষ্মীপুজোর উৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে তৎপর রয়েছে প্রশাসন। পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের তরফে রাস্তাঘাট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।