বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
মেদিনীপুর ডিভিশনের ডিএফও সন্দীপ কুমার বেরোয়াল বলেন, আগের যে দলটি এসেছিল তারা এখন ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়া রেঞ্জের দিকে চলে গিয়েছে। এখন নতুন একটি হাতির দল ওড়িশার দিক থেকে খড়্গপুর হয়ে মেদিনীপুর ডিভিশনের জঙ্গলে ঢুকেছে। পুলিস প্রশাসন থেকে গ্রামবাসী, স্থানীয় প্রশাসন সকলকে আমরা সতর্ক করে দিয়েছি। এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। এখন মেদিনীপুর ডিভিশনের চাঁদরা রেঞ্জ সহ আশপাশের এলাকায় হাতির দলটি ঘোরাফেরা করছে। হাতির গতিবিধির উপর বন দপ্তরের কর্মীরা নজরদারি চালাচ্ছেন।
গত কয়েকদিন ধরে ৫০-৫৫টি হাতির দল চাঁদরা সহ আশপাশের এলাকায় ছিল। গ্রামবাসীরা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছিলেন। যদিও গত দু’দিন ধরে গ্রামবাসীরা কিছুটা স্বস্তিতে ছিলেন। কারণ, বন দপ্তরের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, চাঁদরা রেঞ্জে আর হাতির দলটি নেই। ঝাড়গ্রামের দিকে চলে গিয়েছে। বন দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী শনিবার চাঁদরা রেঞ্জে হাতির দলটি ছিল না। বন দপ্তরের সূত্রে জানা গিয়েছে, লালগড় রেঞ্জের জঙ্গল খাস এলাকায় দু’টি, চাঁদরা রেঞ্জের গাররায় দু’টি, নয়াবসত রেঞ্জের উখলায়-একটি হাতি ছিল। ফলে, হাতির দলটি জঙ্গল থেকে চলে গিয়েছে জেনে আশপাশের হাজার গ্রামবাসী স্বস্তিতে ছিলেন। কিন্তু, রবিবার বন দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী আরও অনেক বেশি হাতি চাঁদরা রেঞ্জে এসেছে। জানা গিয়েছে, লালগড় রেঞ্জে পডিহা জঙ্গলখাস এলাকায় দু’টি, চাঁদরা রেঞ্জের আকুয়ানালায় একটি, আউসাবান্দি, কাটাজঙ্গল ৭৫-৮০টি, ভাদুতলা রেঞ্জের খাসজঙ্গলে একটি, নয়াবসত রেঞ্জের উখলায় একটি হাতি এসেছে।
মণিদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অঞ্জন বেরা বলেন, দুদিন আগেই হাতির দলটি জঙ্গল ছেড়ে চলে গিয়েছিল। আমরা অনেকটা স্বস্তি ফিরে পেয়েছিলাম। কারণ, জঙ্গলের আশপাশের গ্রামবাসীরা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছিলেন। এদিন বন দপ্তরের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, হাতির আরও বড় দল জঙ্গলে এসেছে। তারা চাঁদরা রেঞ্জ সহ আশপাশের এলাকায় রয়েছে। আমরাও গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকতে বলেছি। তবে, আগের দলটি গ্রামবাসীদের সেভাবে ক্ষয়ক্ষতি করেনি। এই দলটিও যদিও ওই পথ অনুসরণ করে তাহলে মঙ্গল। ওরা এখনও লোকালয়ে আসেনি। বন দপ্তরের পাশাপাশি আমাদের সকলের নজরদারি রয়েছে।