গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, প্রায় ছ’বছর আগে রায়পুর সুপুর পঞ্চায়েতের রায়পুর গ্রামের চৈতালির সঙ্গে বিয়ে হয় বোলপুরের নায়েকপাড়ার বাসিন্দা বাবাই বাগদির। তাদের একটি দু’বছরের পুত্রসন্তান রয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে বাবাই বাগদি নির্দিষ্ট কোনও কাজকর্ম করতেন না। সেনিয়ে প্রায়ই বাড়িতে অশান্তি লেগে থাকত। চৈতালি নিজেই বিভিন্নরকম কাজকর্ম করে সংসার চালাতেন। সেইমতো তিনি বিভিন্ন প্রকল্পের গ্রুপের লোনের টাকা নিজের কাছে রেখেছিলেন। সেই টাকা তাঁর স্বামী খরচ করে ফেলেন। যা নিয়ে পাড়ার ঋণ গ্রাহকদের সঙ্গে অশান্তি হচ্ছিল। কীভাবে সেই টাকা ফেরত দেবেন তা খুঁজে পাচ্ছিলেন না চৈতালি। জানা গিয়েছে, এই ঘটনার আগেও একবার একইভাবে গ্রুপের লোনের টাকা খরচ করে ফেলেন বাবাই। সেবার নানাভাবে অর্থ জোগাড় করে সকলের টাকা মিটিয়েছিলেন চৈতালি। কিন্তু, একই ঘটনা আরও একবার হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। রবিবার সকালে বাড়িতে টাকা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে একপ্রস্থ ঝামেলা হয়। বাবাই ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর অপমানে গায়ে আগুন ধরিয়ে নেন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বোলপুর থানার পুলিস। তারা প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে, ঘটনার পর থেকে মৃতার স্বামী পলাতক।
মৃতার মামিমা আলপনা বাগদি বলেন, চৈতালি গ্রুপের লোন থেকে টাকা নিজের কাছে রেখেছিল। সেই টাকা খরচ করে দেয় বাবাই। সেনিয়ে অশান্তির জেরেই চৈতালি গায়ে আগুন ধরিয়ে নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।