সংবাদদাতা, বর্ধমান: মঙ্গলকোট থানার লাখুড়িয়া গ্রামে পুজোয় স্বামীর কিনে দেওয়া শাড়ি পছন্দ না হওয়ায় কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন এক গৃহবধূ। মৃতার নাম মনু থাণ্ডার(৩৬)। শনিবার বিকেলে বাড়িতে তিনি কীটনাশক খান। তাঁকে আউশগ্রামের গুসকরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। রবিবার সকালে তিনি মারা যান। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর স্বামী পেশায় রাজমিস্ত্রি। পুজোয় স্বামী তাঁকে শাড়ি কিনে দেন। কিন্তু, সেটি পছন্দ হয়নি তাঁর। তিনি আরও দামি শাড়ি চেয়েছিলেন। এনিয়ে স্বামীর সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য হয়। পারিবারিক অশান্তির কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিসের অনুমান।
অন্যদিকে, বর্ধমান থানার তেজগঞ্জে লরির ধাক্কায় এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম মহাদেব সমাদ্দার (৫৫)। তেজগঞ্জ এলাকাতেই তাঁর বাড়ি। তিনি শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে তিনি হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। জাতীয় সড়ক পার হওয়ার সময় একটি লরি তাঁকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। মৃতদেহ আটকে রেখে পথ অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে অবরোধ তোলে। পরে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিস। লরিটি ধরা পড়েনি।
অপর একটি ঘটনায় মঙ্গলকোট থানার উজিরপুরে এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিকালে ঘরের বাঁশের কাঠামোয় শাড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁকে ঝুলতে দেখেন পরিবারের লোকজন। তড়িঘড়ি শাড়ি কেটে নামিয়ে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁরা। রাতে তিনি মারা যান। পারিবারিক অশান্তির কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিসের অনুমান।
সাপের কামড়ে মৃত্যু: মাধবডিহি থানার দিগুড়া গ্রামে সাপের কামড়ে ১০ বছরের এক বালকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম সায়ন খান। সে মাধবডিহি থানার পাষণ্ডা হাইস্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ত। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার গভীর রাতে বিছানায় ঘুমন্ত অবস্থায় তার বাঁ হাতের আঙুলে সাপে ছোবল মারে। তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাতে সে মারা যায়।