বিএনএ, আরামবাগ: দুর্গাপুজোয় ‘জাগো বাংলা’র স্টল থেকে আরামবাগ মহকুমায় মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা প্রায় দু’লক্ষ টাকার বই বিক্রি হয়েছে। বিপুল সংখ্যক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বই বিক্রিকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর দুর্গাপুজো উপলক্ষে আরামবাগ মহকুমার মোট ছ’টি ব্লকের মধ্যে পাঁচটি ব্লকে ১৪টি স্টল ছিল। কেবলমাত্র পুরশুড়া ব্লকে শাসক দলের পক্ষ থেকে ওই স্টল এবছর করা হয়নি। এব্যাপারে পুরশুড়া ব্লকের তৃণমূলের যুব সভাপতি খোকন মল্লিক বলেন, যেহেতু পুজোর মুখে দামোদর নদের জল বৃদ্ধি পেয়েছিল। তাই এবছর তেমন ভাবে দুর্গাপুজোয় মাতোয়ারা হতে পারেননি ব্লকের বাসিন্দারা। যে কারণে পুজো উপলক্ষে ওই স্টল দেওয়া সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে, গোঘাট-১ ব্লকে ৪টি, গোঘাট-২ ব্লকে ৬টি, খানাকুলে ১টি ও আরামবাগ ব্লকে ৩টি জাগো বাংলার স্টল করা হয়। মোট ১৪টি স্টল থেকে ১লক্ষ ৭৫হাজার টাকার বই বিক্রি হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে গোঘাট-২ ব্লকে। এই ব্লকের তৃণমূল সভাপতি তথা কামারপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তপন মণ্ডল বলেন, এবছর ব্লকের ৬টি স্টল থেকে প্রায় ৬০হাজার টাকার মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বই বিক্রি হয়েছে। বিশেষ করে জাগরণের বাংলা, আলোকবর্তিকা, ছোটদের জন্য শিশুবেলা, শিশুসাথী বইয়ের চাহিদা ছিল ব্যাপক। পাশাপাশি গোঘাট-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নারায়ণ পাঁজা বলেন, এখানে ৪টি স্টল থেকে প্রায় ৩৫ হাজার টাকার ওই বই বিক্রি হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা কন্যার চোখে কন্যাশ্রী, বিশ্বজয়ী কন্যাশ্রী, বিশ্ববাংলা, আন্দোলনের কথা, কুৎসা পক্ষ, সহিষ্ণুতা, মা-মাটি-মানুষ, আমার জঙ্গল, আমার পাহাড়, উপলব্ধি, শিশু বেলা, তৃণমূল সহ বিভিন্ন বই ওই স্টলগুলিতে রাখা হয়েছিল। দলীয় কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ ও নতুন প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এই বই কেনার ঝোঁক বেশি দেখা গিয়েছে। আরামবাগ ব্লকের তৃণমূল নেতা পলাশ রায় বলেন, আমরা যে সংখ্যক মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বই স্টলগুলিতে রেখেছিলাম তার ৯০শতাংশ বই পুজোর সময় বিক্রি হয়েছে। পুজোর মাঝে বৃষ্টি হওয়ায় হাতেগোনা কয়েকটি বই পড়ে রয়েছে। এবছর আরামবাগ শহরে মোট ৩টি স্টল থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকার বই বিক্রি হয়েছে। এদিকে খানাকুল-১ও২ ব্লক মিলিয়ে কেবলমাত্র একটি স্টল থেকেই মমতার লেখা বই বিক্রি হয়েছে প্রায় ৩০হাজার টাকার।
খানাকুল বিধানসভার তৃণমূলের সাংগঠনিক সভাপতি নজবুল করিম বলেন, খানাকুলের দু’টি ব্লকে সেভাবে বড় দুর্গা উৎসব হয় না। তাই এবছর দলের তরফে একটিমাত্র জাগো বাংলা স্টল করা হয়েছিল। সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী লেখা ৩৫ হাজার টাকার বিভিন্ন বই বিক্রি হয়েছে।
স্বপন নিয়োগী নামে খানাকুলের এক কলেজ পড়ুয়া বলেন, বিশেষ করে ‘বিশ্বজয়ী কন্যাশ্রী’ বইটি অনেকদিন ধরেই খোঁজ করছিলাম। তাই এবছর বিভিন্ন পুজো সংখ্যার পাশাপাশি এই বইটি সংগ্রহ করেছি।