কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন প্রতিবাদ মিছিলে কাতারে কাতারে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক যোগ দিয়েছিলেন। মিছিলের সামনের সারিতে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও আর এক মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, স্থানীয় বিধায়ক ফিরোজা বিবি, পাঁশকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান নন্দকুমার মিশ্র সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। পাঁশকুড়া শহর এবং গ্রামীণ ছাড়াও শহিদ মাতঙ্গিনী এবং কোলাঘাট ব্লকের বেশকিছু এলাকা থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকরা ওই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। শুভেন্দুবাবু বলেন, এই ঘটনা শুধু দুঃখজনক নয়, বর্বরোচিত ঘটনা। কোনও মানুষের মধ্যে এরকম পশুবৃত্তি থাকতে পারে তা কল্পনা করা যায় না।
শুক্রবার কুরবান শা’র পারলৌলিক ক্রিয়ায় যোগ দিতে মাইসোরায় তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন শুভেন্দুবাবু। তারপর শনিবার পাঁশকুড়ায় ওই ঘটনায় প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেন শুভেন্দুবাবু। ইতিমধ্যেই মন্ত্রী মাইসোরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সাংগঠনিক কাজকর্ম দেখভাল করার দায়িত্ব নিহত তৃণমূল নেতার দাদা আফজল আলি শাকে দিয়েছেন। পাশাপাশি নিহত নেতার পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ওই ঘটনার পর কুরবান শা’র স্ত্রী নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন বলেও মন্ত্রীর কাছে জানান। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে সুরক্ষা ব্যবস্থা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, গত ৭অক্টোবর নবমীর রাতে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে মাইসোরা বাজারের মধ্যে পার্টি অফিসে বসে থাকার সময় দুষ্কৃতীরা পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁকে গুলি করে খুন করে। কুরবান সাহেব পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতির পাশাপাশি দলের ব্লক কার্যকরী সভাপতি ছিলেন। অল্পদিনের মধ্যেই তিনি এলাকায় সংগঠনের রাশ নিজের নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলেছিলেন। গত লোকসভা ভোটেও নিজের এলাকা থেকে দলকে ভালো লিড এনে দিয়েছিলেন। ওই নেতা খুনের পর পরিবারের পক্ষ থেকে বিজেপি নেতা আনিসুর রহমান সহ চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করে। যদিও এফআইআর তালিকায় থাকা একজনও ধরা পড়েনি। ওই ঘটনায় পুলিস আব্দুল খালেক শেখ নামে একজন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর জামাই মোবারক করিম খানের নাম এফআইআরে রয়েছে। খুনের ঘটনার পর আত্মগোপন করে থাকা অবস্থায় মোবারক বেশ কয়েকবার শ্বশুরের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছে। আপাতত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে একাধিক টিম গঠন করা হয়েছে। ওইসব টিম দেশের নানা প্রান্তে হানা দিয়েছে। তবে, এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্তরা ধরা পড়েনি। খুনের সঙ্গে যারা সরাসরি যুক্ত তাদেরও ধরা যায়নি। এই অবস্থায় নিহত নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে সিআইডি তদন্ত দাবি করা হয়েছে। যদিও শুভেন্দুবাবু পুলিসের তদন্তে আস্থা রাখার জন্য আবেদন করেছেন।