পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত জামাই মাঝরাতে শাশুড়ির বাড়িতে এসে দরজা খুলতে বলে। মধ্যরাতে বাইরে থাকা জামাইয়ের গলা পেয়ে আতঙ্কিত শাশুড়ি দরজা খুলতেই তাঁর ভাশুরপো ঘরে ঢুকে শ্বাসরোধ করে খুন করে কাকিমাকে। পরে মহিলাকে ধর্ষণও করে মদ্যপ ভাশুরপো। এদিন আদালতে তোলার সময়ে সাংবাদ মাধ্যমের সামনেও খুনের কথা স্বীকার করে প্রশান্ত। এমনকী কাকিমার জামাইয়ের কথাতেই যে সে এই কাজ করেছে তা দাবি করে।
ডিসি(পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, মহিলাকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দ্রুত পুরো ঘটনার কিনারা হয়ে যাবে।
দুর্গাপুরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ধাণ্ডাবাগ এলাকার পুরনো কালীমন্দির এলাকায় অষ্টমীর রাতে বাড়ি থেকে এক বিধবা মহিলার রক্তাক্ত, নগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার হয়। নবমীর সকালে ঘটনা জানাজানি হতেই শুরু হয় তদন্ত। এই ঘটনায় রোজই নতুন তত্ত্ব সামনে এসেছে। দরিদ্র সৎ চরিত্রের বিধবাকে খুন ও ধর্ষণ করার কারণ নিয়ে প্রথমে ধোঁয়াশা থাকলেও পরে ক্রমশ প্রকাশ্যে আসে সম্পত্তি হাতাতেই প্রাণ গিয়েছে বিধবার। প্রথমেই এলাকাবাসীর একাংশের সন্দেহের তির ছিল মৃতার ভাশুরের ছেলে প্রশান্তর উপর। কাকিমার মুখাগ্নি করে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের কাজ সারার পরই পুলিস তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। তার পরে উঠে আসে আরও রহস্যজনক তথ্য। জানা গিয়েছে, মৃতার এক জামাই পুরো ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড। পুলিস ফরিদপুর থানার কাটাবেড়িয়া থেকে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুলে আনে। এরপর দু’জনকে মুখোমুখি জেরা করা হয়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় ভেঙে পড়ে প্রশান্ত স্বীকার করে নেশাগ্রস্ত হয়ে সে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু কার ডাকে বিনা সন্দেহে দরজা খুলেছিলেন ওই মহিলা? জানা গিয়েছে, মৃতার জামাই পুরো পরিকল্পনা করে শাশুড়িকে দরজা খোলার জন্য ডাকে। তারপরেই মহিলার উপর চড়াও হয় প্রশান্ত। এদিন প্রশান্তকে আদালতে তোলার সময় সে বলে, জীবনের প্রথমবার এধরনের কাজ করেছি। আমাকে নেশা করিয়ে জামাই এই কাজ করিয়েছে। এদিন ধৃতকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে সাতদিনের পুলিস হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক মোয়াজ্জেম হোসেন।
এই ঘটনায় স্তম্ভিত পুরো এলাকা। সম্পত্তির লোভে নিকট আত্মীয়রা ষড়যন্ত্র করে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে তা অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছে না। তবে সন্দেহ আরও এক জায়গায় দানা বাঁধছে। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার বাড়িটি সরকারি প্রকল্পে তাঁর নামে গড়ে উঠলেও জমিটি রয়েছে তাঁর শাশুড়ির নামে। তিনি নো অবজেকশন দেওয়ায় বাড়িটি তৈরি হয়। তাহলে যার নামে বাড়ির জমিই নেই, তাঁকে মেরে কীভাবে সম্পত্তি আদায় হতো তা বুঝে উঠতে পারছে না অনেকেই।