কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ি শহরে অনেকগুলি দুর্গাপুজো হয়। দশমী থেকে সেইসব পুজোর প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়েছে। উদ্যোক্তারা তিলপাড়ায় সতীঘাট সংলগ্ন ঘাটে ময়ূরাক্ষী নদীতে বিসর্জন দেন। পাশাপাশি শহরের একাধিক পুকুরেও প্রতিমার বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। দশমীর পর একাদশী ও দ্বাদশীতে সিউড়ি শহরের সমস্ত পুজোরই প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত সিউড়িতে বিভিন্ন পুকুর ও নদীর ঘাটে দেবী দুর্গা সহ অন্যান্য প্রতিমার বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, শুক্রবার শহরের পুকুরগুলি থেকে সেইসব প্রতিমার কাঠামোগুলি তোলা হয়নি বলে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
ময়ূরাক্ষী নদীর ঘাটে প্রতিমার কাঠামো তুলে নিতে দেখা গেলেও সিউড়ি শহরের একাধিক পুকুরে তা ভাসতে দেখা গিয়েছে। এরফলে পুকুরের জলে প্রতিমার মাটি, রং সহ অন্যান্য সামগ্রী মিশে গিয়েছে। বর্তমানে পুকুরের জলে সেইসব প্রতিমার কাঠামোর ভাসছে। খড়ও পচতে শুরু করেছে। ফলে, পুকুরের বাস্তুতন্ত্রও বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ পরিবেশবিদদের।
সিউড়ির এক সাংস্কৃতিক কর্মী বরুণ দাস বলেন, প্রতিমা বিসর্জনের পর তার কাঠামো পুকুর থেকে তুলে নেওয়া উচিত। তাহলে পুকুরের ভারসাম্য স্বাভাবিক থাকবে।
পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, পুকুরে প্রতিমা বিসর্জনের পদ্ধতি বদলে আগামী বছর থেকে ময়ূরাক্ষী নদীর সতীঘাট সংলগ্ন এলাকায় ব্যবস্থা করা হবে। ফলে, দূষণ রোধে সেখান থেকে সব প্রতিমার কাঠামো একসঙ্গে তুলে নেওয়া হবে।