গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
উত্তর সাউতানচক মুনলাইট ক্লাবের এবারের থিম ‘শান্তি নিয়ে এল বুদ্ধ, আর নয় যুদ্ধ’। মণ্ডপে ছ’টি গৌতম বুদ্ধের মূর্তি থাকছে। এছাড়াও একজোড়া সাদা ঘোড়া মণ্ডপের সামনে থাকছে। শান্তির বার্তা হিসেবে মণ্ডপের ভিতরে হরেক রকমের কাজ থাকছে। পুজোর বাজেট তিন লক্ষ টাকা। পুজো কমিটির ক্যাশিয়ার বুদ্ধদেব গুছাইত বলেন, ১৯৯৮ সাল থেকে আমাদের এখানে পুজো হচ্ছে। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে ঘট তুলতে যাওয়া হয়। ওই অনুষ্ঠানে ছোট, বড় সকলেই অংশ নেন। বর্ণাঢ্য ওই শোভাযাত্রা পুজোর অন্যতম অঙ্গ। এছাড়াও পাঁচদিন ধরে অনুষ্ঠান হবে। প্রতি বছরের মতো এবারও জনস্রোত বইবে বলে আশা রাখছি।
উত্তর সাউতানচক প্রাইমারি স্কুলের মাঠে পুজো হয় নবীন সংঘ ক্লাবের। ওই ক্লাব কর্তৃপক্ষও এবার পুজোয় থিম উপস্থাপন করেছে। নানারকম হাতের কাজ মণ্ডপে শোভা পাচ্ছে। পদ্মের পাপড়ি থেকে হাতের পাখা সহ হরেক রকম হাতের কাজ দিয়ে সুসজ্জিত মণ্ডপ বানানো হয়েছে। ক্লাবের সম্পাদক কমলকৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, আমাদের পুজোর বাজেট প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। ৩০ বছরে পড়ল এখানকার পুজো। এখানে পাঁচদিন ধরে মেলা বসে। আশপাশে প্রায় সকলের বাড়িতে আত্মীয়স্বজন আছেন। এই এলাকায় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো বছরের সেরা উৎসব হিসেবে পরিচিত।
উত্তর সাউতানচক ফলেশ্বর জিউ বাজার উন্নয়ন কমিটি কাল্পনিক চিত্রের আদলে মণ্ডপ তৈরি করেছে। মণ্ডপের প্রবেশপথে একটি বিশাল মূর্তি দেখা যাবে। দু’দিকে দু’টি হাঁস। তারপর মণ্ডপে ঢুকেই দু’দিকে দু’টি ঘোড়া দেখা যাবে। ভিতরেও একটি মূর্তির ছবি থাকছে। মণ্ডপজুড়ে নানারকমের কাজ রয়েছে। পুজো কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা নারায়ণচন্দ্র বাগ বলেন, আমাদের পুজো ১৭ বছরে পড়ল। বাজেট প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। কাল্পনিক দৃশ্যকে সামনে রেখে থিম তৈরি করা হয়েছে।
উত্তর সাউতানচকের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে প্রতাপখালি খাল। সেই খালের অন্যপ্রান্তে নন্দকুমার থানা এলাকা পড়ে। নন্দকুমার থানার অন্তর্গত দক্ষিণ নারকেলদা নিউ জাগরণ সংঘের পুজোয় বিশেষ বৈশিষ্ট্য জ্যান্ত মডেল। মহিষাসুর বধ থেকে ছিন্নমস্তা কালী, সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ থেকে বৃক্ষরোপণ, নানা বিষয়কে তুলে ধরা হয়। প্রতি বছর উদ্যোক্তারা জ্যান্ত মডেল নিয়ে পৌরাণিক থেকে সমাজ সচেতনতামূলক বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন। ওই অনুষ্ঠান দেখার জন্য ব্যাপক ভিড় জমে। ক্লাব সম্পাদক শশাঙ্কশেখর হাজরা বলেন, জ্যান্ত মডেল আমাদের পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে ঘট তুলতে যাওয়া হয়। তাতে গ্রামবাসীরা একযোগে অংশ নেন। তিনদিন ধরে জ্যান্ত মডেল নানারকমের থিম তুলে ধরবে। এবার আমাদের পুজো ২৬ বছরে পড়ল। বাজেট এক লক্ষ টাকা।
নন্দকুমার থানার গুড়িয়ার মোড় সংলগ্ন চক বহিচবেড়্যায় হটবয় ক্লাব আলুর চিপস দিয়ে আট ফুটের লক্ষ্মী প্রতিমা তৈরি হয়েছে। এছাড়াও সুসজ্জিত মণ্ডপ তৈরি করেছে। পাঁচদিন ধরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চক্ষুপরীক্ষা শিবির, বৃক্ষরোপণ, বস্ত্রবিতরণের মতো নানারকম কর্মসূচি রয়েছে। ক্লাব সভাপতি টোটন দিণ্ডা বলেন, আমাদের পুজোর বাজেট ৭ লক্ষ টাকা। এবার পুজো তিন বছরে পড়ল।