পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
নিয়ামতপুরের বিষ্ণুবিহার কলোনির বাসিন্দা রাজীব তাঁতি থানায় লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, রেলের অস্থায়ী কাজ পাওয়ার জন্য ৫ মার্চ ২০১৫ সালে অমিত কুমার সিংহ ও তাঁর স্ত্রী নিরুপমা সিংহের কাছে ৪ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু তিনবছর হয়ে গেলেও কোনও কাজ না হওয়ায় চাপ দিতে তাঁকে একটি নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। সেই নিয়োগপত্র নিয়ে কাজে যোগ দিতে গেলে জানানো হয়, সেটি জাল। অভিযোগকারীর দাবি, এই ঘটনার পর টাকা ফেরত চাইতে গেলে প্রথমে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বললেও পরে ৩ অক্টোবর অভিযুক্ত নেতা টাকা দিতে অস্বীকার করেন। অভিযোগকারীর আরও দাবি, শুধু তিনি নন, আরও অনেক নিরীহ মানুষের টাকা এভাবে আত্মসাৎ করেছেন ওই বিজেপি নেতা। তাদের মধ্যে অন্য একজনের নামও অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিজেপি যেমন বিষয়টি থেকে গা বাঁচাতে মরিয়া, তেমনই বিজেপি বিরোধীরা এনিয়ে সরব হয়েছেন।
যদিও এতদিন পর কেন অভিযোগ হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত নেতা। তিনি বলেন, অভিযোগটি মিথ্যা। আমি কারও কাছে রেলে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে টাকা নিইনি। আমাকে ও আমার স্ত্রীকে ফাঁসানো হচ্ছে। এলাকায় বিজেপির প্রভাব বাড়ায় তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগকারীদের দিয়ে এসব করিয়ে আমাদের বদনাম করার চেষ্টা করছে।
ঘটনায় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই। তিনি বলেন, এতদিন পরে কেন অভিযোগ করলেন। তিনি তো আমাদের কাউকে জানাতে পারতেন। আসলে বিধানসভা নির্বাচন সামনে আসছে। তাই এধরনের সাজানো ঘটনা সামনে আসবে। শাসক দল নানা ষড়যন্ত্র করছে। তবু আমি বলতে চাই, আমাদের দল কোনওভাবেই বেনিয়ম, দুর্নীতি বরদাস্ত করে না। ঘটনার কোনও সত্যতা থাকলে দলও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল এধরনের রাজনীতি করে না। যদিও অন্য দলের নেতার বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাই না। তবু সাধারণ মানুষ হিসেবে দেখলে এটা গুরুতর অভিযোগ। প্রশাসনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
পুলিসের জানিয়েছে, অভিযোগ জমা পড়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগকারী রাজীব তাঁতি বলেন, টাকা ফেরতের কোনও আশা দেখতে না পেয়েই অভিযোগ করেছি।