পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নানুরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে দুই মহিলা সহ চারজন গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের ওই রাতেই বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই রাতে এলাকায় বোমাবাজিও করা হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় যায় নানুর থানার পুলিস। যদিও ঘটনার পিছনে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই বলে জানিয়েছেন নানুরের ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, এলাকায় দু’টি পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা ছিল। সেই থেকেই গণ্ডগোল হয়েছে। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার ওই গ্রামের মধ্যেই অব্যবহৃত একটি সাবমার্সিবলের ঘর থেকে প্রায় ৯০টি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে নানুর থানার পুলিস। ফলে, এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নানুর ব্লকের থুপসরা পঞ্চায়েতের ডাঙাপাড়া গ্রাম। যার জেরে চারজন গুরুতর জখম হন। তাঁদের মধ্যে দু’জন মহিলা রয়েছেন। রাতেই তাঁদের চিকিৎসার জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। গ্রামের তৃণমূল নেতা কিতাবুল শেখ ও আর এক নেতা জামু শেখের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে একটি জায়গার দখল কে নেবে তা নিয়ে বিবাদ চলছিল। আগেও ঝামেলা হওয়ার জন্য জায়গাটির উপর ১৪৪ধারা জারি করা হয়েছিল। ওই জমি ঘিরেই বুধবার রাতে ফের গ্রামের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে যায়। দু’পক্ষেরই বেশ কয়েকজনকে মারধর করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এলাকায় বোমাবাজিও করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গ্রামের পরিবেশ থমথমে থাকলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এদিন গ্রামে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে দু’পক্ষের আটজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
জমি বিবাদে সংঘর্ষের জেরে জখম শেখ রহমত বলেন, আমরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের সমর্থক। গ্রামে একটি জায়গা নিয়ে এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল। সমস্যা মেটানোর জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থও হয়েছিলাম। বুধবার হঠাৎ আমাদের ওপর চড়াও হয়ে মারধর করা হয়। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।
নানুর অঞ্চলের নেতা তথা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান বলেন, ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবেই দল জড়িত নয়। সম্পূর্ণ গ্রাম্যবিবাদ। পুলিস বিষয়টি দেখছে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে ডাঙাপাড়া গ্রামের প্রায় শেষ প্রান্তে দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকা সাবমার্সিবল ঘরের ভিতর থেকে দুই ড্রামভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার করে নানুর থানার পুলিস। জানা গিয়েছে, সাবমার্সিবল ঘরটি গ্রামের বাসিন্দা সাবু খানের। দু’টি ড্রাম মিলিয়ে প্রায় ৯০টি বোমা মজুত রয়েছে বলে পুলিস জানিয়েছে। বোমা উদ্ধারের জায়গাটি ঘিরে রাখা হয়েছিল। পরে বোলপুর থেকে বম্ব স্কোয়াড গিয়ে সেগুলিকে নিষ্ক্রিয় করবে বলে জানা গিয়েছে। তবে, বোমাগুলি কে বা কারা মজুত করেছে তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট হয়নি। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। উল্লেখ্য, থুপসরা পঞ্চায়েত সহ নানুর ব্লক এলাকায় দফায় দফায় খবর পেয়ে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল সংখ্যক বোমা উদ্ধার করেছে পুলিস।
অন্যদিকে, ওই রাতে সিউড়ি শহরের ফকিরপাড়া ও সোনাতোড় পাড়ার মধ্যে বিবাদের জেরে মারধর ও বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় একজন জখম হয়েছেন। তাঁকে সিউড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একটি দোকানেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিন ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি বোমা উদ্ধার করেছে। পুলিস অবশ্য বোমাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিস জানিয়েছে, পুরনো বিবাদের জেরে গণ্ডগোল হয়েছে।