কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে। প্রেমপ্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে, পুরোনো কোনও ... বিশদ
স্থানীয় ও পুরুলিয়া জেলার হোটেল মালিক সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর সময় থেকেই এবার পুরুলিয়া জেলার অযোধ্যা পাহাড় ছাড়াও বাঘমুণ্ডির একাধিক পর্যটন কেন্দ্র জয়চণ্ডী পাহাড়, গড় পঞ্চকোট সহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ভিড় বাড়তে থাকে। তবে পুজোর মুখে নিম্নচাপের ভ্রুকুটিতে অনেকেই পুজোর সময় শেষমুহূর্তে বুকিং বাতিলও করেছেন। পুজো মেটার পাশাপাশি আকাশ কিছুটা পরিষ্কার হতেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকদের ঢল নামতে শুরু করেছে পুরুলিয়া জেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে। অযোধ্যা পাহাড়তলির বাড়েরিয়া গ্রামের মনোরম পরিবেশে থাকা একটি হোটেলের কর্ণধার জনার্দন মুরারি মাহাত বলেন, পুজোর মুখেও ভিড় ছিল। তবে দশমীর পর ভিড় অনেকটাই বেড়ে যায়। দশমী থেকে দ্বাদশী পর্যন্ত ভিড়ের চাপ সবচেয়ে বেশি। পুজোর সময় নিম্নচাপের পূর্বাভাস থাকায় ভিড় আশানুরূপ হয়নি। তবে পুজোর পরে পর্যটকদের ঢল সেই হতাশা দূর করেছে।
অযোধ্যা পাহাড়ের উপরের একটি হোটেলের ম্যানেজার কার্তিক মাহাত বলেন, পুজো থেকেই আমাদের হোটেলে ভিড় রয়েছে। তবে দশমী থেকে ভিড় আরও বেশি। হোটেলে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত রুম খালি না থাকায় অনেককেই ফিরিয়ে দিতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার অযোধ্যা পাহাড়ে বেড়াতে আসা বর্ধমানের বাসিন্দা সুমন সাহা, দেবাশিস রায় বলেন, পুজোতে নিজেদের এলাকায় চুটিয়ে ঠাকুর দেখেছি। তারপর ছুটি কাটাতে অযোধ্যা বেড়াতে এসেছি। এখানকার পরিবেশ সত্যিই মনোরম।
কলকাতার বাসিন্দা সুস্মিতা মজুমদার, তানিয়া দাশগুপ্ত বলেন, পুজোর পরই আচমকা তিন পরিবার মিলে পরিকল্পনা করে অযোধ্যা চলে এসেছি। আগে থেকে বুকিং ছিল না। এখানে হোটেলগুলিতে যে এরকম ভিড় হবে ভাবতে পারিনি। অনেক কাঠখড় পুড়িয়েও পছন্দমতো রুম পেলাম না। তাও ফিরে তো আর যেতে পারি না।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, হোটেল বুকিং ছাড়াও বাসে করে শুধুমাত্র পিকনিক করতেই মুর্শিদাবাদ, মালদহ থেকে বহু পর্যটক পুজোর সময় থেকেই আসছেন। সকালে এসে পিকনিক করে তাঁরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। তবে শুধুমাত্র অযোধ্যা পাহাড় নয়, পুরুলিয়া জেলার অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও পুজোর পর ভিড় অনেকটাই বেড়েছে। অনেকেই পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে পছন্দমতো থাকার জায়গা না পেয়ে পুরুলিয়া শহরেও হোটেল ভাড়া করে থাকছেন।
এবিষয়ে পুরুলিয়া জেলা হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহিত লাটা বলেন, পুজোর সময় থেকেই অযোধ্যা পাহাড় সহ জেলার অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলির হোটেলগুলিতে ভিড় রয়েছে। তবে পুজোর পর ভিড় আরও বেড়েছে। আগামী রবিবার পর্যন্ত টানা এরকম ভিড় চলবে বলে মনে হচ্ছে। তবে বর্তমানে সারাবছরই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। এটা জেলার পর্যটন শিল্পের জন্য খুবই ভালো ব্যাপার।