পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দশমীর সকালে জিয়াগঞ্জের লেবুবাগানে নিজের বাড়িতে আততায়ীর হাতে খুন হন প্রাথমিক শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী এবং ছ’বছরের ছেলে। ঘটনা জানাজানি হতেই বহু মানুষ ওই বাড়ির সামনে ভিড় জমান। ভিড় কমতেই থমথমে পরিবেশ গ্রাস করে। সন্ধ্যার আগেই সবাই ঘরে ঢুকে যাচ্ছেন। এদিন সকালে ওই বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা গেল, সাধারণের প্রবেশ আটকাতে মোটা দড়ি দিয়ে বাড়ি ঘিরে দেওয়া হয়েছে। পাড়ার বেশ কয়েকটি বাড়ির সামনে এলাকার বাসিন্দারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছিলেন। শিক্ষক এবং তাঁর পরিবারের কথা জানতে চাওয়ায় কেমন যেন শুকিয়ে গেল মুখগুলি। এক বধূ বললেন, আমার বাড়ি গলির অনেকটা ভিতরে। আমি কিছু বলতে পারব না। আর এক মহিলা অবশ্য বলেন, শিক্ষক ও তাঁর স্ত্রী পাড়ার কারও সঙ্গে সেভাবে মিশতেন না। ছেলেটিকেও বাড়ির বাইরে বের হতে দিতেন না। তাই আমরা ওই শিক্ষক ও তাঁর পরিবার সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানি না। আতঙ্কে সন্ধ্যার পর ওই বাড়ির পাশ দিয়ে কেউ আসতে চাইছেন না।
মৃত শিক্ষকের বাড়ির পিছনে মা ছায়া ঘোষপালের দোতলা বাড়ি রয়েছে। ওই বাড়ির দোতলায় এবং নীচে গত ছ’-সাত ধরে ভাড়া রয়েছেন রানা দাস এবং অঞ্জলি পাল। রানার স্ত্রী মলি দাস বলেন, ঘটনার পর থেকেই আমরা খুব আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। দিনেরবেলায় কোনওরকমে কাটলেও সন্ধ্যা নামতেই ভয় করছে। ঘরের দিকে চোখ পড়লেই গাঁয়ে কাঁটা দিয়ে উঠছে। প্রয়োজন থাকলেও সন্ধ্যার পরে বাড়ির বাইরে পা রাখছি না। জিয়াগঞ্জ সদরঘাটে রানাবাবুর একটি ফাস্টফুডের দোকান রয়েছে। তিনিও মঙ্গলবার থেকে দোকান বন্ধ রেখে বাড়িতেই রয়েছেন। এদিকে ঘটনার দু’দিন পরও পুলিস কাউকে গ্রেপ্তার না করতে পারায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে স্থানীয়রা বলেন, এমন একটা মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল অথচ পুলিস এখনও পর্যন্ত খুনের কিনারা তো দূরের কথা কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারল না। যদিও অতিরিক্ত পুলিস সুপার(লালবাগ) তন্ময় সরকার বলেন, বেশ কয়েকটি বিষয় সামনে রেখে তদন্ত চলছে। বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।