কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস কমিশনার দেবেন্দ্র প্রকাশ সিং বলেন, পুজোর সময় যাত্রা নিরাপদ করতে বিশেষ অভিযান চালানো হয়। এই সংক্রান্ত মোট ৩০৬টি মামলা রুজু হয়েছে পাঁচদিনে।
এদিন দুপুর থেকেই জেলার বিসর্জনের ঘাটগুলিতে ভিড় উপচে পড়ে। একদিকে যেমন দুর্গাপুর, বার্নপুর, দিশেরগড়, রানিগঞ্জ সহ দামোদর নদের নানা ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। তেমনই নানা পুকুর, দিঘিতেও চলেছে বিসর্জন। এদিন বার্নপুরের এবি টাইপ, রামনগর সহ নানা পুজোর বিসর্জন হয় বিসি রায় কলেজের পুকুর ঘাটে। এছাড়াও নিয়ামতপুরের চিনাকুড়ির খ্যাতনামা পুজোগুলির বিসর্জন হয় রামঘাটে। এমনকী নানা প্রান্তে বিসর্জন হয়েছে। মায়ের সঙ্গে বিদায় যাত্রায় শামিল হয়ে ‘আসছে বছর আবার হবে’ আওয়াজ তোলেন আট থেকে আশি সকলেই। পুলিস প্রতিটি ঘাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছিল। উচ্চপদস্থ অফিসাররা ঘটনাস্থলে হাজির থেকে পুজোর বিষয়টি তদারকি করেছেন।
অন্যদিকে, পুলিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পুজোর সময়ে ট্রাফিক আইন ভাঙার উপর যথেষ্ট অভিযান চালিয়েছে পুলিস। মদ খেয়ে গাড়ি চালানোর জন্য ৬১টি মামলা হয়েছে। তিনজনকে নিয়ে বাইক চালানোর অভিযোগে ১২৯টি মামলা রুজু হয়েছে। এছাড়াও বিপজ্জনক গাড়ি চালানোর জন্য পাঁচটি, হেলমেট না পরে বাইক চালানোর জন্য ৮৯টি, সিট বেল্ট না বাঁধার জন্য ১৬টি গাড়ি চালানোর সময় ফোনে কথা বলার জন্য দু’টি এবং সিগন্যাল ভাঙার জন্য পাঁচটি পৃথক মামলা রুজু হয়েছে।
যদিও পুলিস কড়াকড়ির মধ্যেই বুধবার রাতে পাঁচগাছিয়া মোড়ে গান্ধীনগরের পুজোর ভিড় সামলাতে গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিস। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মণ্ডপে ব্যাপক ভিড় হওয়ায় পার্কিং নিয়ে এক গোষ্ঠীর সঙ্গে অন্য গোষ্ঠীর বচসা শুরু হয়। দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক মারমারি শুরু হয়। চলে ইট ছোঁড়াছুঁড়িও। তখনই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আসে কন্যাপুর ফাঁড়ির এএসআই মহম্মদ হাসানের নেতৃত্বে পুলিসবাহিনী। ঘটনাস্থলে পড়ে আক্রান্ত হয় পুলিসও। মহম্মদ হাসানের মাথা ফেটে যায়। তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরেই পুলিস অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করে।