বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধায়ক সফিউল সাহেবের বাড়ি কান্দি থানা সংলগ্ন এলাকায়। থানার পিছনেই রয়েছে কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়। ওই কার্যালয়ের পাশ দিয়ে একটি অস্থায়ী রাস্তা চলে গিয়েছে কানা ময়ূরাক্ষী নদীর দিকে। স্থানীয় বাসিন্দারা শহরে ঢোকার জন্য এটিকে বিকল্প রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করেন।
অভিযোগ, ওইদিন রাতে সেখানে তৃণমূলের কয়েকজন সমর্থক বাজি পোড়াচ্ছিল। এর কিছুক্ষণ পর সেখানে বিধায়ক এসে তাদের সঙ্গে বচসা জুড়ে দেন। ফলে পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তারপর সেখানে আন্দুলিয়া পঞ্চায়েতের প্রধান মালেক শেখ আসায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরে উভয়পক্ষ সেখানে লোক জড়ো করতে শুরু করে। পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে বিধায়কের বাগবিতণ্ডা শুরু হয়ে যায়। এরপর সেখানে কান্দি থানার পুলিস পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। পরে দু’পক্ষ কান্দি থানায় অভিযোগ জানায়।
বিধায়ক সফিউল সাহেব বলেন, রাতে তৃণমূলের ছেলেরা ওই রাস্তার পাশে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাজি পোড়াচ্ছিল। তাতে মহিলারা সেদিক দিয়ে যাতায়াত করতে পারছিলেন না। আমি সেকথা ভালোভাবে বোঝাতে গেলে ওরা লোক জড়ো করে সেখানে বড় ধরনের গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছিল।
যদিও পঞ্চায়েত প্রধান মালেক বলেন, বিধায়কই নেশাগ্রস্তদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে বাজি পোড়াচ্ছিলেন। ফলে মানুষের সমস্যা হচ্ছিল। কাছেই একটি নার্সিংহোম রয়েছে। তাই আমি সেখানে বিষয়টি জানতে গিয়েছিলাম।
এ ব্যাপারে তৃণমূলের কান্দি ব্লক সভাপতি পার্থপ্রতিম সরকার বলেন, আমাদের দলের ছেলেরা নয়, বিধায়ক নিজের দলের ছেলেদের নিয়ে সেখানে বাজি পোড়াচ্ছিলেন। তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সামান্য বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে পুলিস দু’পক্ষকে সেখান থেকে হটিয়ে দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বিষয়টি কংগ্রেস বনাম তৃণমূল হয়ে যাওয়ায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি আপাতত স্বাভাবিক হলেও যে কোনও সময় অশান্তি হতে পারে।