পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এবার জেলার সেরা পুজো হিসেবে প্রথম হয়েছে জঙ্গলমহলের ফুলকুসমা বাজার সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি, দ্বিতীয় হয়েছে শুশুনিয়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি ও তৃতীয় হয়েছে বাঁকুড়া শহরের ইন্দারাগোড়া হরেশ্বরমেলা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। অর্থাৎ, সেরা পুজো বিভাগে প্রথম দু’টি পুরস্কারই গ্রামের পুজো মণ্ডপ পেয়েছে। শুধু তাই নয়, এবার সেরা মণ্ডপ হিসেবে প্রথম হয়েছে বাঁকুড়া-২ ব্লকের পুয়াবাগান সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি, দ্বিতীয় হয়েছে ইন্দপুরের বাংলা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি ও তৃতীয় হয়েছে বিষ্ণুপুরের সেনহাটি সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। এক্ষেত্রেও প্রথম দু’টি পুরস্কার গ্রামের ঝুলিতে পড়েছে।
তবে সেরা প্রতিমায় প্রথম হয়েছে বাঁকুড়া শহরের বড়ষোলোআনা রাজহাটি তাম্বুলি সমাজ দুর্গোৎসব কমিটি, দ্বিতীয় হয়েছে বিষ্ণুপুর শহরের শালবাগান সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি ও তৃতীয় হয়েছে পাত্রসায়রের বালসি নাইটিঙ্গল অ্যাসোসিয়েশন দুর্গোৎসব কমিটি। এক্ষেত্রে প্রথম দু’টি পুরস্কার শহর পেলেও তৃতীয়টি গ্রামের পুজো কমিটি পেয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৯টির মধ্যে ৫টি পেয়েছে গ্রামের পুজো কমিটি। স্বাভাবিকভাবে পুরস্কার পেয়ে সংশ্লিষ্ট পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়। ষষ্ঠীর দিন মণ্ডপে আবির খেলা শুরু হয়। কোথাও কোথাও একে অপরকে মিষ্টিমুখ করান। শুধু তাই নয়, পুরস্কারের খবর চাউর হওয়ায় সংশ্লিষ্ট পুজো মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ব্যাপক ভিড় জমে।
বাঁকুড়া জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিক অরুণাভ মিত্র বলেন, অন্যান্য বারের মতো এবারও বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান-২০১৯ পুরস্কারের জন্য নাম ঘোষণা করা হয়েছে। শীঘ্রই এবিষয়ে সাম্মানিক স্মারক পুজো উদ্যোক্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এছাড়াও তিনটি বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীকে যথাক্রমে ৫০ হাজার, ৩০ হাজার ও ২০ হাজার টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করা হবে। বিভিন্ন মাপকাঠির ভিত্তিতে এবার সেরাদের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে ২০১৩ সাল থেকে ‘বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান’ পুরস্কার চালু হয়। এবছর পুরস্কারের জন্য জেলার মোট ৫৬টি পুজো কমিটি আবেদন জমা করে। তার মধ্যে বাঁকুড়া সদর মহকুমায় ২৫টি, বিষ্ণুপুর মহকুমায় ২০টি এবং খাতড়া মহকুমায় ১১টি আবেদন জমা পড়ে। বিচারক মণ্ডলীর সদস্যরা সরেজমিনে দেখে ষষ্ঠীর দিন সন্ধ্যায় চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করেন। সদস্যরা পরিবেশ সচেতনতা ও সামাজিক বার্তার উপর জোর দেন। তাতে দেখা যায়, শহরকে টেক্কা দিয়ে গ্রামের একাধিক পুজো কমিটি সেরার তালিকায় উঠে এসেছে।