বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
জানা গিয়েছে, গোপীবল্লভপুর থানার আশুই গ্রামের বাসিন্দা পূজা সেনাপতি গত ৮ সেপ্টেম্বর গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে একটি কন্যাসন্তান প্রসব করেন। প্রসবের পর সদ্যোজাতের ওজন ছিল ৮০০ গ্রাম। তাই চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের এসএনসিইউয়ে ভর্তি করা হয়। প্রসবের তিনদিন পর পূজাদেবীকে গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়। আশুই গ্রামের বাসিন্দা পূজাদেবীর স্বামী সন্তোষকুমার সেনাপতি পেশায় ফল ব্যবসায়ী। এটি তাঁদের দ্বিতীয় সন্তান। একটি পুত্রসন্তান তাঁদের রয়েছে। ওই দম্পতির দাবি, বাচ্চা হওয়ার ১৩ দিন পর ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে এসে তাঁরা জানতে পারেন, কন্যাসন্তান বদলে তাঁদের পুত্রসন্তান দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানার ২৪দিন পর গত ৭ অক্টোবর তাঁরা ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার ও থানায় লিখিত অভিযোগ জানান।
পূজাদেবী অভিযোগে জানিয়েছেন, কন্যার বয়স ১৩ দিন হওয়ার পর ঝাড়গ্রাম হাসপাতাল থেকে তাঁকে ডাকা হয় এবং কন্যাসন্তানের বদলে পুত্রসন্তান দেওয়া হয়। তিনি বলেন, আমি জানাই, সন্তানের জন্মের প্রমাণপত্রে কন্যাসন্তানের কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু আমাকে বলা হয়, ওই প্রমাণপত্রে ভুল রয়েছে।
তারপর ১ অক্টোবর ঝাড়গ্রাম হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার পর পুত্রসন্তান নিয়ে বাড়ি ফিরে যান ওই দম্পতি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই দম্পতি যে বাচ্চাকে ভর্তি করেছিলেন, সেই বাচ্চাকেই ছুটি করিয়ে বাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন। পূজাদেবীর অবশ্য অভিযোগ, জোর করে তার শিশুকে ছুটি দেওয়া হয়েছিল। প্রথমে বলেছিল, বাচ্চার ওজন দেড় কেজি হওয়ার পর ছুটি দেবে। কিন্তু, এক কেজি ওজনেই ছুটি দিয়ে দেয়।
ঝাড়গ্রামের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শান্তনু সাউ বলেন, ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করে বিস্তারিত রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। পুলিসকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে।