গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম কিরণ শেখ (২১)। তাঁর বাড়ি মাড়গ্রাম থানার লাউরিয়া গ্রামে। মৃত যুবকের মামা মহম্মদ কদম রসুল বলেন, মঙ্গলবার রাতে ভাগ্নে তাঁর এক বন্ধু লাগোয়া ডাঙাপাড়া গ্রামের রকি শেখকে বাইকের পিছনে চাপিয়ে রামপুরহাট শহরে ঠাকুর দেখতে এসেছিল। বাড়ি ফেরার পথে রামপুরহাট-মাড়গ্রাম রাস্তার উপর মণিপুর ক্যানেলের কাছে একটি মোটরভ্যানের সঙ্গে বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই ভাগ্নের মৃত্যু হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দৌড়ে আসতে দেখে ভ্যানচালক গা ঢাকা দেয়। পরে পুলিস ও স্থানীয় বাসিন্দারা গুরুতর জখম অবস্থায় রকিকে উদ্ধার করে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাঁর মাথা, হাত ও পায়ে আঘাত লেগেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বাইক চালাচ্ছিলেন মৃত যুবক। চালক ও আরোহীর কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। বাইকের গতিবেগ অত্যন্ত বেশি ছিল। হেলমেট পরে থাকলে হয়তো এই যাত্রায় বেঁচে যেতে পারতেন ওই যুবক। পুলিস মোটরভ্যান ও বাইকটিকে আটক করেছে।
পুলিসের এক আধিকারিক জানান, ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ নিয়ে লাগাতার প্রচার সত্ত্বেও অধিকাংশ বাইক চালক হেলমেট ব্যবহার করছেন না। সীমিত গতিবেগ ও নিয়ন্ত্রণ রেখে সমস্তরকম যানবাহন চলাচল করার জন্য বলা হচ্ছে। কিন্তু, মানুষ সচেতন হচ্ছে কই। সম্প্রতি যে ক’জন বাইক দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন তাঁদের কেউই হেলমেট ব্যবহার করেননি।
অন্যদিকে, গত রবিবার অষ্টমীর সকালে ময়ূরেশ্বর থানার নামু ষাটপলশা গ্রামে ডাম্পারের সঙ্গে বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় আরও একজন যুবক বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিস জানিয়েছে, মৃতদের নাম শঙ্কর ভল্লা (১৮) ও রাহুল ভল্লা (২২)। দু’জনেরই বাড়ি ময়ূরেশ্বর থানার সেনুরিয়া গ্রামে।
জানা গিয়েছে, অষ্টমীর দিন সেনুরিয়া গ্রামের তিন যুবক একটি বাইকে চেপে ঠাকুর দেখতে বের হন। নামু ষাটপলশা গ্রামের কাছে রামনগর-ষাটপলশা রাস্তার বাঁক ঘোরার সময় সামনের দিক থেকে আসা একটি খালি ডাম্পারের সঙ্গে বাইকটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। বাইক সহ তাঁরা ডাম্পারের নীচে চলে আসে। স্থানীয় মানুষজন তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে বাসুদেবপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে শঙ্করকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাকি দু’জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় সেখানেই মৃত্যু হয় রাহুলের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন সাহেব ভল্লা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চালক, আরোহী কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না। পুলিস ঘাতক ডাম্পারটিকে আটক করেছে। চালক ও খালাসি পলাতক।