কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
কলকাতার রেওয়াজ মেনে কয়েক বছর ধরে চতুর্থী থেকেই দুর্গাপুর ও আসানসোলে পুজো দেখার ভিড় শুরু হয়ে যাচ্ছে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে এবার আগে থেকেই দুই শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেছে পুলিস। পঞ্চমীতেই দুই শহরের পুজো মণ্ডপগুলিতে মানুষের ঢল দেখা গিয়েছিল। ষষ্ঠীতে তা জনজোয়ারে পরিণত হল। সকাল থেকেই একদিকে যেমন নতুন পোশাক পরে বাইক নিয়ে দাপাদাপি নজরে এসেছে, তেমনই নতুন শাড়ি পরে মহিলাদেরও মণ্ডপে যেতে দেখা যায়। এদিন ভগৎ সিং মোড় থেকে কোর্ট মোড় হয়ে চিত্রা মোড় পর্যন্ত ভিড় উপচে পড়ে। এছাড়া ভিড় টেনেছে বারাবনি ব্লকের গান্ধীনগরের পুজো। আসানসোলের জুবিলি মোড়ের কাছে বহু লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই পুজো পঞ্চমীর দিন বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় উদ্বোধন করেন। তারপর থেকেই মণ্ডপে ভিড় উপচে পড়ছে। এছাড়া ধেমোমেন কোলিয়ারির পুজোয় প্রচুর মানুষের ভিড় ছিল। একইভাবে চিনাকুড়ির-১, ২ ও ৩ নম্বর কোলিয়ারি এলাকায় পুজো উপলক্ষে বসেছে মেলা। বার্নপুরে নববিকাশ ক্লাবের থিম বার্নপুর ও আসানসোলবাসীকে মুগ্ধ করেছে। সেখানেও বহু মানুষের ভিড় দেখা যায়। কুলটি, চিত্তরঞ্জন সহ সর্বত্র মানুষের ঢল নেমেছে। একই ছবি রানিগঞ্জেও। সেখানকার রেল ময়দান, শিশুবাগান মোড় থেকে শিয়ারশোল, থানা রোড় এদিন ভিড়ে কার্যত যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। ভিড় ছিল রানিগঞ্জের রাজবাড়ি মোড়েও।
অপরদিকে, এদিন সাজানো শহর দুর্গাপুরেও উপচে পড়ে ভিড়। সিটিসেন্টার, চতুরঙ্গ মাঠে অল্পবয়সীদের পুজোর আড্ডায় মেতে উঠতে দেখা গিয়েছে। মারকনি, অগ্রণী, ফুলঝোড়, নবারুণের মতো খ্যাতনামা পুজোমণ্ডপে সন্ধ্যায় মানুষের ভিড় থিকথিক করে। ধাণ্ডাবাদ পশ্চিমাঞ্চল, পূর্বাঞ্চলের পুজোতেও ব্যাপক ভিড় দেখা গিয়েছে। তবে শুধু থিমের পুজোই নয়, শিল্পাঞ্চলে প্রাচীন পারিবারিক পুজোগুলিও নিজেদের মতো ধরে দেবী দুর্গার আরাধনায় মেতেছে। ষষ্ঠীর সকাল থেকে দিনভর আকাশে মেঘ ও রোদের খেলা চললেও এদিন থেকেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে পুরোদমে মেতেছেন শিল্পাঞ্চলবাসী। জেলাজুড়ে রীতিমতো উৎসবের মেজাজ। আলো ঝলমল করছে শহরের সব রাস্তা। উৎসবে শামিল আট থেকে আশি। পুজোর দিনগুলিতে অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে পুলিসের তরফে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা।