কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
এদিনের অনবুষ্ঠানে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, সহ সভাধিপতি দেবু টুডু, অধ্যক্ষ দেবাশিস নাগ, অতিরিক্ত পুলিস সুপার (গ্রামীণ) ধ্রুব দাস, পূর্বস্থলী-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক, পঞ্চায়েত প্রধান আজিজুন্নেসা বিবি প্রমুখ। এদিন মণ্ডপে উদ্যোক্তাদের তরফে ‘হুল্লোড়’ নামে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়।
মহাষষ্ঠীর সকালে অনাথ ও দুঃস্থ খুদেদের চুল কাটিয়ে, স্নান করিয়ে নতুন জামা কাপড় দেওয়া হয়। পুজোর উদ্বোধন, অতিথিদের আপ্যায়ন থেকে প্রসাদ বিতরণের সমস্ত দায়িত্ব পালন করে তারা। পুজোর কদিন দুঃস্থ অনাথদের নিয়েই নানা অনুষ্ঠান চলবে। তাদের জন্য নানারকমের খাওয়াদাওয়া থেকে ম্যাজিক শো, সিনেমা, পুতুলনাচ সহ নানা অনুষ্ঠান রয়েছে।
জেলাশাসক বলেন, চাকরির সূত্রে বহু জেলায় ঘুরেছি। বহু জেলার দুর্গাপুজো দেখেছি। কিন্তু, বিদ্যানগরের অনাথ ও দুঃস্থদের নিয়ে এই পুজোর স্মৃতি আমার সারাজীবন মনে থাকবে।
পুলিস সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, অনাথদের নিয়ে এমন পুজোর আয়োজন করার জন্য স্বপনবাবুকে ধন্যবাদ জানান। এদিন তিনি ভাষণের মাঝে ‘মঙ্গলদীপ জ্বেলে’ গানটি গান।
স্বপনবাবু বলেন, সকলের দানের অর্থেই এই পুজো। অনাথ শিশু ও খেটে খাওয়া মানুষদের নিয়েই এই দুর্গাপুজোর আয়োজন। না পাওয়ার যন্ত্রণাবোধ থেকেই অনাথ, অবহেলিত শিশুদের নিয়ে পুজোর আনন্দ করি। এটাই তো মানুষের পুজো।
অন্যদিকে এদিনই সন্ধ্যায় উত্তর শ্রীরামপুর বারোয়ারি দুর্গাপুজার উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন পূর্বস্থলী-১ বিএমওএইচ প্রশান্ত সরকার। সেখানে উদ্যোক্তাদের তরফে ২৫০ জন দুঃস্থকে শীতবস্ত্র তুলে দেওয়া হয়।
অপরদিকে, মহাষষ্ঠীর সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি উপেক্ষা করে কাটোয়া মহকুমাজুড়ে থিমের পুজোর প্যান্ডেলগুলির পাশাপাশি শহরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী মন্দিরের পুজো দেখতে সাধারণ মানুষের ঢল নামে। শহরের পুজোয় যাতে কোনওরকম বিঘ্ন না ঘটে তারজন্য প্রতিটি মণ্ডপে পুলিসি নজরদারির ব্যবস্থা থাকছে। পাশাপাশি কাটোয়া, কেতুগ্রাম এবং মঙ্গলকোট মিলিয়ে তিন থানার সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও বিভিন্ন বিগ বাজেটের পুজো মণ্ডপগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার (গ্রামীণ) ধ্রুব দাস বলেন, পুজোকে ঘিরে কোথাও যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তারজন্য পুলিসি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিস কর্মীরা নজরদারি চালাচ্ছেন।