বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শুক্রবার পুরুলিয়া জেলার পুঞ্চা থানার লাখরা গ্রামে সর্বজনীন পুজোর উদ্বোধন হয়। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওই গ্রামেরই বাসিন্দা তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। লাখরা গ্রামের পুজো এবার ৭৫ বছরে পা দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে পুজোকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ চোখে পড়ে। অন্যদিকে, রঘুনাথপুর মহকুমা এলাকার নিতুড়িয়া এলাকার ভামুরিয়া, দুবেশ্বরী কোলিয়ারি, পারবেলিয়া এবং সরবড়ির পুজোতে ব্যাপক ভিড় হয়। আদ্রার বাঙালি সমিতির পুজো সহ রঘুনাথপুরের একাধিক পুজোয় সাধারণ মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
এদিন পুরুলিয়া শহরে দুপুরের দিকে মণ্ডপে তেমন ভিড় না থাকলেও সন্ধ্যার পর ব্যাপক ভিড় চোখে পড়ে। উপর নডিহার রাস্তায় আলপনা থেকে শুরু করে দুলমি এলাকার আমাজনের জঙ্গল নষ্টের উপর তৈরি থিম দেখতে বহু মানুষ ভিড় জমান। এছাড়াও শরৎ সেন কম্পাউন্ড, হুচুকপাড়া, সিন্দারপট্টি এলাকার পুজো দেখতে যান দর্শনার্থীরা। বাঘমুণ্ডির মাদলা গ্রামের প্রায় ৩৫০ বছরের পুরনো মুখোপাধ্যায় পরিবারের পুজো দেখতেও স্থানীয় বাসিন্দারা ভিড় জমান। এছাড়াও মানবাজারের ইন্দকুড়ি, ঝালদা শহরের একাধিক পুজো মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ে।
বাঁকুড়া সদরের পাশাপাশি বিষ্ণুপুর, সোনামুখী ও খাতড়ার বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে দর্শনার্থীর ঢল নামে। ঠাকুর দেখার পাশাপাশি এদিন বিভিন্ন পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এদিন বিষ্ণুপুর শহরের একাধিক সর্বজনীন পুজোর উদ্বোধন করেন বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। রাজ্যের পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা এদিন জয়পুরের হাটতলা, রাস্তাধার, কুলসায়র, কুচিয়াকোল এবং কোতুলপুরের গোরুহাটতলা, সাইতাড়া, মির্জাপুর, ঘাটদিঘি ও কারকবেড়িয়ায় সর্বজনীন পুজোর উদ্বোধন করেন। এছাড়াও এদিন বাঁকুড়া শহর, সোনামুখী ও খাতড়ার একাধিক পুজো বিশিষ্টজনরা উদ্বোধন করেন। বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে উদ্যোক্তারা এবার থিমের পাশাপাশি বাহারি আলোর মাধ্যমে দর্শনার্থীদের মনোরঞ্জন করার চেষ্টা করেছেন।
এদিন সন্ধ্যা থেকেই বাঁকুড়া শহরের লালবাজার, সিনেমা রোড, কমরার মাঠ, মধ্য কেন্দুয়াডিহি, প্রণবানন্দপল্লি, কাঠজুড়িডাঙা, পুয়াবাগান প্রভৃতি মণ্ডপে দর্শনার্থীরা ভিড় জমিয়েছিলেন। বিষ্ণুপুর শহরের কলেজ রোড, দলমাদল রোড, ঝাপড়মোড়, সোনামুখীর চৌরাস্তা, রথতলা, থানামোড়, দেওয়ানবাজার, রথতলা ও খাতড়া শহরে রাজাপাড়া ও জলডবরা মোড়ে সর্বজনীন পুজো মণ্ডপে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
অন্যদিকে আরামবাগ, পুরশুড়া, খানাকুল, গোঘাট সহ আরামবাগ মহকুমার বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় মানুষের ঢল নামে। আলোর সাজে সাজিয়ে তোলা হয় গোটা আরামবাগ শহর। বিশেষ করে আরামবাগ লিঙ্ক রোড জুড়ে একাধিক পুজো মণ্ডপ থাকায় বিকেলের পর থেকে যানজটেরও সৃষ্টি হয়। যদিও বিগত বছরগুলির অভিজ্ঞতা থেকেই পুলিস প্রশাসন শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আগাম ব্যবস্থা নেয়। পাশাপাশি এদিন আরামবাগ শহরের অধিকাংশ সর্বজনীন পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন হয়। কোথাও ফিল্মস্টার, কোথাও আবার শাসক দলের নেতারা পুজো মণ্ডপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
আরামবাগের এসডিপিও নির্মলকুমার দাস বলেন, আগে থেকেই পুলিসের পক্ষ থেকে শহরের যানজট ও সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এছাড়াও লিঙ্ক রোডের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা সচল রাখা হয়েছে। ওই ক্যামেরার ফুটেজের উপরেও পুলিসি নজরদারি থাকবে।