কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
প্রসঙ্গত, বুধবার আরামবাগের বেঙা এলাকায় বকেয়া বেতন ও পুজোর বোনাসের দাবিতে একটি রাইস মিলে বিক্ষোভ দেখান কর্মীরা। সেই খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে মালিকপক্ষের হাতে গুরুতর জখম হন চিত্র সাংবাদিক অরূপ অধিকারী ও ‘বর্তমান’ পত্রিকার সাংবাদিক সুদেব দাস। তাঁদের ভর্তি করা হয় আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে। ঘটনায় পুলিস অঞ্জন চৌধুরী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করলেও দু’দিন পরেও মূল অভিযুক্ত নিত্যানন্দ চৌধুরী সহ বাকিদের ধরতে পারেনি। যদিও সাংবাদিকদের তরফে এনিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগের পাশাপাশি উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। এমনকী, অভিযোগপত্রে প্রাণনাশের চেষ্টার কথা উল্লেখ থাকলেও পুলিস এফআইআর কপিতে সেই ধারা প্রয়োগ করেনি। ফলে বৃহস্পতিবার ধৃত অঞ্জনের জামিন হয়ে যায়। ওই ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে শহরজুড়ে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
বিষয়টি নিয়ে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, এই আক্রমণ শুধুমাত্র কয়েকজন সাংবাদিক কর্মীদের উপর নয়, এটা গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ। এর দ্বারা প্রমাণিত রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছুই নেই। পুলিস এক্ষেত্রে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের স্বপন নন্দী বলেন, সংবাদমাধ্যম সমাজের দর্পণ। সেই সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদের উপর এমন বর্বরোচিত আক্রমণের ঘটনা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। আশা করছি, পুলিস অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করবে।
এদিকে, সাংবাদিক পেটানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে শহরের সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা বলেন, আমরা ভিডিও ফুটেজ পুলিসের হাতে তুলে দেওয়ার পরেও কেন পুলিস ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা বুঝতে পারছি না।
অন্যদিকে, ওই ঘটনায় খুনের চেষ্টার ধারা প্রয়োগ না হওয়া নিয়ে সরব হয়েছেন আইনজীবীদের একাংশও। তাঁদের দাবি, এর থেকেও অনেক ছোট ঘটনায় পুলিস কেবলমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতেই এফআইআর কপিতে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারা প্রয়োগ করে থাকে। অথচ সাংবাদিকরা হাসপাতালে ভর্তি হলেন, অভিযোগপত্রে প্রাণনাশের চেষ্টার কথা উল্লেখ থাকলেও পুলিস জামিন অযোগ্য ৩০৭ ধারা প্রয়োগ করেনি। সম্ভবত অভিযুক্তরা আর্থিকভাবে ক্ষমতাবান এবং প্রভাবশালী বলেই এমনটা হয়েছে বলে তাঁরা মনে করছেন। এই ঘটনায় পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠল।