কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
দ্বিতীয় দফায় ফের বুধবার আকাশের মুখ ভার হতে দেখেই হতাশ হয়ে পড়েছিল আপামর বাঙালি। সকালে ভারী বৃষ্টিতে মানুষের মন আরও ভারাক্রান্ত হয়ে উঠেছিল। কিন্তু পঞ্চমীর বিকেলে আবহাওয়ার উন্নতি হতেই শহরের মণ্ডপগুলিতে মানুষের ভিড় জমতে শুরু করে। পঞ্চমীর দিন লোয়ার কাদাই সহ বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন হয়। পঞ্চমীর দিন থেকেই মানুষ পুজো দেখতে বাড়ির বাইরে পা রাখতে শুরু করেন। বৃহস্পতিবার মেঘলা আকাশ হলেও বৃষ্টিমুক্ত পরিবেশে দুপুর থেকেই পথে পথে মানুষের ঢল নামতে শুরু করে। কাদাই, খাগড়া, স্বর্ণময়ী, গোরাবাজার, কান্দি বাসস্ট্যান্ড সহ কাশিমবাজার, হরিদাসমাটি এলাকা জনজোয়ারে ভাসতে শুরু করে। ষষ্ঠীতে উৎসাহী দর্শনার্থীদের ভিড় সামাল দিতে অযোধ্যানগর সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি, হরিদাসমাটি ঐক্যতান সঙ্ঘ, পুরাতন কান্দি বাসস্ট্যান্ড সহ শহরের অধিকাংশ কমিটির সদস্যদের হিমশিম খেতে হয়েছে বলেই তাঁরা দাবি করেছেন।
বহরমপুরের পাশাপাশি বেলডাঙাতেও দর্শনার্থীদের জন্য বহু পুজোর দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। বেলডঙায় বেশ কয়েকটি থিমের পুজোর উদ্বোধন হয়ে গিয়ে পঞ্চমীর সন্ধ্যায়। বেলডাঙা নেতাজি পার্ক, বড়ুয়া কলোনি, বেলডাঙা জনকল্যাণ সমিতির মণ্ডপেও মানুষের ঢল নামতে শুরু করেছে। বৃষ্টি না থাকায় মেঘলা আকাশেই বেগুনবাড়ি মিলনতীর্থ পল্লি উন্নয়ন সমিতির (দত্তপাডা)প্রতিমা দেখতে এদিন বাইরে থেকে বহু মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন।
জেলার অন্যত্র বৃষ্টি না হলেও এদিন ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জলঙ্গি এলাকায় হাল্কা ও মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। তবে প্রকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে এদিন জলঙ্গির অন্যতম সেরা বিগ বাজেটের পুজো সাগরপাড়া কালীতলা সর্বজনীন পুজো কমিটির মণ্ডপে চোখে পড়ার মতো ভিড় ছিল। এখানকার পুজোর থিমেও বন্যা কবলিত এলাকার দুর্দশার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। থিম নির্দেশক সৌমেন দত্ত বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় নিয়েই মণ্ডপসজ্জা শেষ করতে হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস দুর্যোগ উপেক্ষা করেই আমাদের প্রয়াস দেখতে মানুষ আসবেন।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কান্দির বহু পুজোর উদ্বোধন পিছিয়ে দিতে বাধ্য হন পুজো উদ্যোক্তারা। শহরের সেরা পুজোগুলির উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল চতূর্থী ও পঞ্চমীর দিন। কিন্তু সেগুলি বাধ্য হয়ে এদিন উদ্বোধন করা হয়েছে। অরবিন্দ স্পোর্টিং ক্লাব, ইন্দিরাজি, মঠতলা, বিবাদি সঙ্ঘের চারটি বিগ বাজেটের পুজোর উদ্বোধনের দিনেই সব মণ্ডপগুলিতে দর্শনার্থীদের ভিড় ছাপিয়ে পড়ে। তবে কান্দির পুজো মণ্ডপে এদিন গ্রামীণ এলাকার মানুষের ভিড় সেভাবে নজরে আসেনি। উদ্যোক্তাদের দাবি, সপ্তমী থেকে গ্রামের মানুষের ঢল নামবে কান্দি শহরে। দশমী, একাদশী পর্যন্ত সেই ভিড় চলে। তবে এবার নিম্নচাপে কিছুটা হলেও উদ্যোক্তরা মুষড়ে পড়েছেন।
জঙ্গিপুর এলাকায় অধিকাংশ পুজো হয় নিজস্ব কংক্রিটের মন্দিরে। ফলে প্রকৃতিক দুর্যোগ ওইসব পুজো কমিটিগুলকে সেভাবে কাবু করতে পারে না। মন্দিরে পুজো হলেও বেশ কয়েক বছর ধরে বহু পুজোর বাইরের মণ্ডপসজ্জা হয় কাপড় বা থার্মোকলের সুন্দর কাজে। বিশেষ করে রঘুনাথগঞ্জ, জঙ্গিপুর এলাকার পুজোয় আলোকসজ্জায় উদ্যাক্তাদের জোর বেশি থাকে। এবার অলোকসজ্জা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। জঙ্গিপুর টাউন ক্লাব, চৈতক সঙ্ঘ, প্রতাপপুর সর্বজনীন ক্লাবে ষষ্ঠীর দিন দিন ব্যাপক ভিড় জমে।