কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
জঙ্গলমহলে তৃণমূলের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার পর শুভেন্দুবাবু বারবার নানা কর্মসূচিতে খড়্গপুর এসেছেন। কখনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যোগ দিতে, আবার কখনও সরকারি কর্মসূচিতে তিনি শহরে এসেছেন। কয়েকদিন আগে শহর থেকে চারটি সরকারি বাসের উদ্বোধন করতে এসে তিনি আলো লাগানোর কথা বলেন। তিনি বলেছিলেন, পুরসভার আবেদনে সাড়া দিয়ে আমি আমার দপ্তর থেকে ৬০ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছি। এই টাকায় পশ্চিম মেদিনীপুরের গেটওয়ে চৌরঙ্গি থেকে শহরের প্রবেশপথে আলো বসবে। আর বিভিন্ন প্রধান সরকারি দপ্তরের সামনে এবং শ্মশান ও কবরস্থানে আলো লাগানো হবে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, চৌরঙ্গি থেকে পথবাতি লাগাতে ৩০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। বাকি টাকায় অন্য কাজগুলি হবে।
প্রসঙ্গত, পুজোর সময় মেদিনীপুরের বাসিন্দারা যেমন খড়্গপুর শহরে ঠাকুর দেখতে যান, তেমনই খড়্গপুর শহরের বাসিন্দারা মেদিনীপুরে যান। দুই জমজ শহর পুজোর ক’টা দিন মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। চৌরঙ্গি থেকে খড়্গপুর শহরে যাওয়ার বেশ কিছুটা পথ এতদিন অন্ধকার থাকত। দু’পাশে ত্রিফলা আছে ঠিকই, কিন্তু তাতে সেভাবে আলো হয় না। অন্ধকার রাস্তা ধরেই দুই শহরের বাসিন্দারা ঠাকুর দেখতেন। এবার আর তাঁদের অন্ধকারে পথ চলতে হবে না। বৃহস্পতিবার পঞ্চমীর রাতে দেখা গেল চৌরঙ্গি থেকে খড়্গপুর শহরের ইন্দা কলেজ পর্যন্ত রাস্তা আলোকিত হয়ে গিয়েছে। অন্ধকারের গা ঝমঝমেভাব আর নেই। পথচলতি মানুষকে শুভেন্দুবাবুর প্রশংসা করতে শোনা যায়।
খড়্গপুরের শহরের বাসিন্দা সুচিত্রা জানা, শেখ সাব্বির বলেন, এই রাস্তায় যে আলো দিতে হবে, এতদিন সেকথা কেউ ভাবেননি। শুভেন্দুবাবু এই উদ্যোগ নেওয়ায় রাস্তা আলোকিত হল। পুজোর সময় যত রাতই হোক, অন্ধকারের ভয় আর থাকবে না। মেদিনীপুরের বাসিন্দা অভিষেক মিশ্র, মহম্মদ আরিফ বলেন, এই রাস্তায় আলোর খুবই দরকার ছিল। আগে যখন খড়্গপুরে ঠাকুর দেখতে যেতাম, তখন কতক্ষণে এই রাস্তা পার হব, সেই চিন্তা থাকত। এখন আর সেই চিন্তা রইল না।