কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
বিজেপি যেখানে লোকসভা ভোটে ন’টি বিধানসভায় বিপুল ভোটে এগিয়ে, সেখানে পুজোয় অংশগ্রহণে বিজেপিকে প্রাথমিকভাবে কিছুটা পিছনে ফেলে দিয়েছে তৃণমূল। দলের সুপ্রিমোর নির্দেশে পুজোর কয়েকদিন আগে থেকেই মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন এলাকার বিধায়করা। সেখানে যেমন তাঁরা পাড়ায় পাড়ায় পুজোর প্রস্তুতির খোঁজ খবর নিচ্ছেন, তেমনই পুজোর উদ্বোধনেও হাজির হচ্ছেন। তারই সঙ্গে চলছে দিদিকে বলো কর্মসূচি। এর পাশাপাশি বসন পরো মা নামে চলছে বস্ত্র বিতরণ, শঙ্খ বিতরণ। সব মিলে পুজোয় একাত্ম্য হতে কোনও সুযোগই হাতছাড়া করছেন না রাজ্যের মন্ত্রী থেকে মেয়র। কিন্তু তুলনায় কিছুটা আগ্রহ কম বিজেপির। তার অন্যতম প্রধান কারণ আসানসোলের এমপি বাবুল সুপ্রিয়র পুজোয় অনুপস্থিতি। রেলে কিছু অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে তিনি চতুর্থীর দিনে আসানসোল এলেও সেই দিনই ফিরে গিয়েছেন দিল্লি। পঞ্চমীতেই রওনা দিচ্ছেন মার্কিন মুলুকে গান গাওয়ার জন্য। বাবুলবাবুর অনুগামীরা তা প্রচারও করছেন সোশ্যাল সাইটে। আর তাকেই হাতিয়ার করে তৃণমূল পাল্টা রাজনৈতিক প্রচারে নেমে পড়েছে। তাদের দাবি, এমনিতেই উৎসবের সময়, তার উপর দুর্যোগের ভ্রুকুটি। তাই বিশেষ করে এলাকার এমপির সাধারণ মানুষের কাছে থাকা প্রয়োজন। কিন্তু তিনি বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন।
আসানসোলে দক্ষিণ বিধানসভা এলাকায় একটি কর্মসূচিতে তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, আপনাদের ভোট পেয়ে এখানকার এমপি পুজোয় আপনাদের সঙ্গে না থেকে বিদেশ চলে যাচ্ছেন। কেন এখানে এসে পুজোর কাজে মানুষের সুখ-দুঃখের কথা তো জানতে পারতেন। তিনি তো মন্ত্রী। কিছু দরিদ্র্র মানুষের কাছে পুজোর নতুন বস্ত্র তো তুলে দিতে পারতেন।
বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় বলেন, পুজোয় বাংলায় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কালো মেঘ, আমরা যখন মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি, তখন এমপি বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন যাতে তাঁর পুজো নষ্ট না হয়।
যদিও এসবের তোয়াক্কা করতে নারাজ বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেন, তাঁদের এমপির গান শোনার জন্য সারা বিশ্বের মানুষ অপেক্ষা করেন, আমন্ত্রণ জানান, এতে আসানসোলের মানুষ খুশি হন। যেখানেই যাই, আসানসোলের এমপি হিসেবে বলা হয়। সেখানেও আমার আসানসোলের, বাংলার ও দেশের কথা বলি। কাটমানি খাওয়া নেতারা যাঁদের আর কোনও পরিচয় নেই, তাঁরা এসব বুঝবে না। বোঝাতে চাইও না।
বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, তিনি খ্যাতনামা গায়ক। বিদেশে গেলেও তো আসানসোলের নামই উজ্জ্বল হবে। আর এসব বলে তৃণমূল মানুষের মনে দাগ কাটতে পারবে না। আমরা সবাই পুজোর অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। প্রসঙ্গত, জেলার আরএক বিজেপি এমপি এসএস আলুওয়ালিয়া অবশ্য পুজোয় জেলাতেই থাকছেন।