কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
পুজোর দিনগুলিতে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হয় রামপুরহাট শহরে। গ্রাম থেকে বহু মানুষ রাতভর ঘুরে ঠাকুর দেখার পাশাপাশি মোগলাই, রোল, চাউমিন থেকে শুরু করে ফুচকা, তেলেভাজা, শিঙাড়া, চাটের মতো হরেক খাবার রাস্তা, ফুটপাত এবং রেস্তোরাঁ থেকে কিনে খান। আবার পুজোমণ্ডপের সামনে বহু অস্থায়ী খাবারের দোকান গজিয়ে ওঠে। সেখানেও মানুষের ভিড় জমে। কিন্তু, খদ্দের বেশি হওয়ায় বাসি খাবারও বিক্রির প্রবণতা দেখা দেয় অনেক অসাধু ব্যবসায়ীর মধ্যে। আবার কেউ বেশি মুনাফার লোভে নিম্নমানের তেল ব্যবহার করে। অনেকে খাবারে রাসায়নিক প্রয়োগও চলে। বহু জায়গায় রং মেশানো রঙিন শরবত বিক্রি হয়। ওইসব খাবার নিম্নমানের এবং ক্ষতিকর হওয়ায় অসুস্থও হয়ে পড়েন অনেকে। এই ধরনের খাবার বিক্রির উপর রাশ টানতে চায় পুর প্রশাসন।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ সদস্যর টিম তৈরি করা হয়েছে। পুজোর ক’দিন আচমকাই ওই টিমের সদস্যরা হানা দেবেন হোটেল, নানা রেস্তোরাঁর হেঁশেলে। আবার সেই টিমের সদস্যরা কখনও খদ্দের সেজে রেস্তোরাঁর টেবিলে বসে খাবার খেয়েও দেখবেন। অস্থায়ী দোকোনে রোল বা চাউমিনে নামগোত্রহীন শস ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, সেটাও ঘুরে দেখবেন টিমের সদস্যরা।
চেয়ারম্যান বলেন, বাসি খাবার বিক্রি করা নিষেধ তো বটেই, শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক কোনও রাসায়নিক খাবারে ব্যবহার করলেও কড়া শাস্তি হবে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীর। পুরসভার মতে, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের সচেতনতা বাড়ানোই এই অভিযানের মূল লক্ষ্য।
শুধু নিম্নমানের খাবার নয়, প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের ব্যবহারের ক্ষেত্রেও নজরদারি চালাবে পুরসভা। পার্সেল খাবার দেওয়ার ক্ষেত্রে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহার করা হলে সেই ব্যবসায়ীকে মোটা অঙ্কের জরিমানা করবে পুরসভা। ইতিমধ্যে শহরজুড়ে মাইকিং করে প্লাস্টিক বর্জনের বার্তা দিয়ে আসছে পুরসভা। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে অধিকাংশ পুজো কমিটি এবার পরিবেশবান্ধব মণ্ডপ গড়ে তুলেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে কেন্দ্র রাজ্যের তিন শহরকে স্মার্ট সিটি ঘোষণার পরে রাজ্য ১২৯টি পুরসভাকে গ্রিনসিটি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে সরকার। সেইমতো পুরসভাগুলিকে কোটি কোটি টাকা অর্থও বরাদ্দ করা হয়। এই প্রকল্পে রামপুরহাট শহরকে প্লাস্টিকমুক্ত করতে ঢাকঢোল পিটিয়ে মাইকে প্রচারের পাশাপাশি অভিযানে নেমেছিল পুরসভা। কিন্তু, ধারাবাহিক নজরদারি ও কঠোর মনোভাব না দেখানোয় প্লাস্টিকমুক্ত করা যায়নি শহরকে। যদিও চেয়ারম্যান বলেন, এই পুজো থেকেই প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে ধারাবাহিক অভিযানে নামা হচ্ছে।