সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
উৎকর্ষের নিরিখে সেরা পুজোকে শারদ সম্মান দেওয়ার প্রতিযোগিতা বছর বছর বেড়েই চলেছে। তারই মধ্যে এবার ঢুকে পড়ল সরকারের সচেতনতামূলক প্রচারের উপর শারদ সম্মান। এবছরই প্রথম একসঙ্গে মহকুমার প্রতিটি পুজো কমিটিকে নিয়ে বৈঠক করল পুলিস-প্রশাসন। উপস্থিত ছিলেন এসডিও শ্বেতা আগরওয়াল, এসডিপিও সৌম্যজিৎ বরুয়া, কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, রামপুরহাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুকান্ত সরকার, মহকুমার প্রতিটি থানার ওসি, দমকল, ভূমি ও বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকরা।
এদিন মহকুমা শাসক তাঁর বক্তব্যে বলেন, পুজোমণ্ডপে ইভিপি, নির্মল বাংলা, ও খাদ্যসাথী প্রকল্পে ডিজিটাল রেশন কার্ডের জন্য আবেদন বা সংশোধন, সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ, প্লাস্টিক ব্যবহার কতটা ক্ষতিকারক সেই সংক্রান্ত সরকারের সচেতনতামূলক প্রচার করতে হবে। কারণ, পুজোর সময় মণ্ডপগুলিতে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। ফলে, সেই সময় এধরনের প্রচার করলে সরকারের বার্তা সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। প্রশাসনের এই উদ্যোগে আপনারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন।
অন্যদিকে বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকরা বলেন, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মণ্ডপের ওয়ারিংয়ে আইএসআই মার্কা তার ব্যবহার করতে হবে। দমকল আধিকারিক বলেন, অন্যান্য বছর দমকলের ছাড়পত্র নিতে টাকা জমা দিতে হতো। এবছর সেই টাকা দিতে হবে না বলে সরকার ঘোষণা করেছে।
অপরদিকে এসডিপিও বলেন, রাজ্য সরকার অধিকাংশ পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দেওয়ার কথা বলেছে। আগামী মঙ্গলবার প্রত্যেক থানা থেকে সেই অনুদানের চেক বিলি করা হবে। তিনি বলেন, বিগ রাজেটের পুজোমণ্ডপে সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে এবং নৈশপ্রহরী রাখতে হবে। কারণ, সব জায়গায় পুলিস দেওয়া সম্ভব হবে না। পাশাপাশি তিনি বলেন, যারা এতদিন পুজোর অনুমতি পেয়ে এসেছে তাদের সোমবার থেকেই এবছরের পুজোর অনুমতি দেওয়া হবে। যারা অনুমতি ছাড়াই পুজো করে আসছে তারা পুলিসের এনওসি নিয়ে অনুমতির জন্য ব্লক বা এসডিও অফিসে আবেদন করবে। উপর মহল থেকে নির্দেশ আসার পরই তাদের অনুমতি দেওয়া হবে। এছাড়া কম শব্দে বক্স বাজাতে হবে। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে। সেইসঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে। কোনও পুজো সেরা হতে চাইলে এগুলি যে করণীয় এবং শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি সেটা পরিষ্কার বলে দিয়েছেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি পুজো কমিটিকে সহযোগিতার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। সুশৃঙ্খলভাবে এবছরও দুর্গোৎসব পালিত হবে এই আশা রাখছি।