সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুরহাটে ছেলেদের জন্য একটি হোম রয়েছে। অন্যদিকে, বোলপুরের হোমটি মেয়েদের জন্য। রামপুরহাটে বর্তমানে ৩৪জন শিশু রয়েছে। তারা অনেকেই মানসিক প্রতিবন্ধী। কারও শারীরিক প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে। অন্যদিকে, বোলপুরের হোমে ২৫জন রয়েছে। সেখানে ১৮বছর বয়সের ঊর্ধ্বে ১৫জন যুবতী রয়েছেন। তাদের দেখভালের জন্য কোনও অভিভাবক নেই। কারও মা-বাবা নেই। কোনও শিশুকে আবার পরিত্যক্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাকে হোমে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে।
দুর্গাপুজো সবার জন্যই। হোমের সেইসব অনাথ, প্রতিবন্ধী কিশোর-কিশোরীদের সাধারণ চার দেওয়ালের মধ্যেই থাকতে হয়। উদ্ধারের পর ১৫দিনের মধ্যে শিশুর ফেরত পেতে কোনও অভিভাবক আবেদন জানালে তবেই তা সম্ভব। কিন্তু, অনেক শিশুকেই ফেরত পাওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়নি। ফলে, তাদের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে হোমে রয়ে গিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হোমে শিশুদের মাথাপিছু সরকারিভাবে ২৩৩০টাকা করে দেওয়া হয়। ওই টাকাতেই শিশুদের খাওয়া, পোশাক, চিকিৎসা প্রভৃতি পরিষেবা দেওয়া হয়। রামপুরহাটের হোমের সুপার অনন্যা সাহা বলেন, পুজোর সময় অনেক সহৃদয় ব্যক্তি হোমের শিশুদের পোশাক দান করেন। পুজোয় বেড়াতে যাওয়ার জন্য সেইসব পোশাকই শিশুদের পরানো হয়। গতবছরও শহরের কয়েকটি পুজো হোমের শিশুদের দেখানো হয়েছিল। এবারও তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ষষ্ঠীতে প্রথম প্রতিমা দর্শন করানো হবে। তারপরে অন্য আর একটি দিনেও মণ্ডপ ঘোরানোর ব্যবস্থা করা হবে।
অন্যদিকে, বোলপুরের হোমের সুপার জলি বিশ্বাস বলেন, এই হোমে অনাথের পাশাপাশি শিশুশ্রমিক, বাড়ির দেখভাল থেকে বঞ্চিত মেয়েরা রয়েছে। তাদের প্রত্যেককেই বোলপুর সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার পুজো ঘুরিয়ে দেখানো হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিমা দর্শনের জন্য হোমের তরফে গাড়ির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাছাড়া সুরক্ষিতভাবে প্রতিমা দর্শন করাতে এসকর্টের ব্যবস্থাও রাখা হবে। সারাদিন পুজোমণ্ডপ দেখিয়ে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে।