সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’দিন আগে মেদিনীপুর ডিভিশন থেকে ৭০টি হাতির দল খড়্গপুর ডিভিশনের কলাইকুণ্ডা রেঞ্জে ঢুকে পড়ে। শুক্রবার রাতে ওই পালের ৫৫টি হাতি হাড়িভাঙা, রোহিনী হয়ে ডুলুং নদী পার করে। তারপর সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে নয়াগ্রামে ঢোকার চেষ্টা করে। ৫৫টি হাতির দলে প্রায় ১৬টি শাবক রয়েছে। ডুলুং নদী পার করলেও সুবর্ণরেখা নদী পার হতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে শাবকরা। কারণ, ডুলুং নদীতে জল কম রয়েছে। কিন্তু, সুবর্ণরেখা নদীতে ভালো জল রয়েছে। বনদপ্তরের দাবি, ওই শাবকটি দুর্বল ছিল। যার ফলে জলে ডুবে যায়। তারপর দলে থাকা পূর্ণবয়স্ক হাতি শাবকটিকে শুঁড়ে টেনে নদীপাড়ে তোলে।
এদিন সকালে গ্রামবাসীরা নদী পাড়ে মৃত হস্তিশাবকটিকে পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে মৃত শাবকটিকে উদ্ধার করে চাঁদাবিলা রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসা হয়। সেখানে শাবকটি ময়নাতদন্তের পর পোড়ানো হয়। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলাইকুণ্ডা এলাকায় আরও ১৫টি হাতির দল রয়েছে। ওই হাতির দলটি এই পথ দিয়ে নয়াগ্রামে ঢুকতে পারে। আবার সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নয়াগ্রামে ঢুকেছিল ৩৫টি হাতি। সম্প্রতি ৩৫টি হাতির দল ওড়িশা থেকে ফের নয়াগ্রামে ঢুকে পড়ে। খড়্গপুর ডিভিশনের এডিএফও অভিজিৎ কর বলেন, নদী পার হওয়ার সময় শাবকটি জুলে ডুবে গিয়েছিল। যার ফলে শাবকটি মারা গিয়েছে। শাবকটি মারা যাওয়ায় বাকি হাতিগুলি চাঁদাবিলা রেঞ্জের তপোবন এলাকায় চলে যায়।