সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
সাঁইথিয়ায় বাস টার্মিনাসের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। এদিন এলাকার মানুষের সেই দাবি পূরণ হল। সেচ দপ্তরের পাশেই গড়ে উঠেছে উন্নতমানের বাস টার্মিনাস। অনুব্রতবাবু বলেন, সাঁইথিয়ায় বাস টার্মিনাসের খুবই প্রয়োজন ছিল। আগে মানুষকে হাঁটু সমান কাদায় দাঁড়িয়ে বাস ধরতে হতো। এরপরই তিনি এনআরসির বিরোধিতায় সোচ্চার হন। তিনি বলেন, বিজেপি বলছে এরাজ্যে সাড়ে তিন কোটি মানুষ এনআরসি থেকে বাদ যাবে। শুনে নাও, পশ্চিমবাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন থাকবে ততদিন বিজেপির ক্ষমতা নেই এরাজ্যে এনআরসি করবে। অসমে ৭৫ হাজার পুলিস এনআরসি থেকে বাদ পড়েছেন। পুলিসরা কী পরিষেবা দেয়নি? তুমি তাদের এনআরসি থেকে বাদ দিলে। লজ্জা লাগা দরকার। ২০২১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপুল জনসমর্থন নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করবেন। বিজেপি তোমার ক্ষমতা নেই এরাজ্যে এনআরসি করবে। ওটা স্বপ্নই থেকে যাবে। এখন থেকেই হিসেব কষা হচ্ছে, আড়াই লক্ষ পুলিস এনআরসি থেকে বাদ যাবে। তুমি বাদ দেবে কী করে, হরিদাস পাল। তোমার বাদ দেওয়ার ক্ষমতা আছে? তাঁর যদি এখানে সম্পত্তি বা দলিল থাকে? আর যাঁরা গরিব মানুষ, যাঁদের দলিলপত্র কিছুই নেই, তাঁরা ভারতের মানুষ। তাদের তাড়ানোর ক্ষমতা তোমার নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছেড়ে কথা বলবে না। স্বাধীনতা কী করে আনতে হয় এরাজ্যের মানুষ জানে।
অনুব্রতবাবু বলেন, মহাত্মা গান্ধী ছাড়া বাকি গুজরাতের মানুষ সেই সময় দালালি করেছিল। তিনি জনতার উদ্দেশে বলেন, যে যা বলছে, বলুক। সামনে পুরসভা নির্বাচন। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে জয়লাভ করুন। কারও কথায় কান দেবেন না। এনআরসির ভয় দেখিয়ে কেউ কিছু করতে পারবে না।
এদিন তিনি সাঁইথিয়ার যানজট সমস্যা সমাধানে বাইপাস রাস্তা তৈরির ব্যাপারেও উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বলেন। তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে জমি কিনতে হলে এস্টিমেট করুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলে সেটা করে দেবেন। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনুব্রতবাবু বলেন, এনআরসি নিয়ে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। এটাই মানুষের ভরসা। বিজেপি এরাজ্যে ক্ষমতায় আসবে না। এছাড়াও লোকপুরে বিস্ফোরণ ইস্যুতে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা ওখানে বোমা রেখে আসতে পারে। ওদের খবর নেই। ওটা পরিত্যক্ত বাড়ি। প্রচার পেতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
এব্যাপারে বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, উনি কী বলছেন সেটা আমাদের বিষয় নয়। আর উনি আরও দু’বছর বেঁচে থাকুক। বাংলা ছেড়ে যেন না পালান। তাহলেই দেখতে পাবেন, এরাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এল কি না।