সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের যুগ্ম সচিব শান্তনু চৌধুরী ও জলি মুখোপাধ্যায়, বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস, বাঁকুড়া, সোনামুখী ও বিষ্ণুপুর এই তিন পুরসভার চেয়ারম্যান যথাক্রমে মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত, সুরজিৎ মুখোপাধ্যায় ও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
প্রধান সচিব বলেন, বাঁকুড়ার তিনটি পুরসভায় বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে কঠিন বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য যা যা করণীয় সে বিষয়ে এদিনের বৈঠকে বিশদভাবে আলোচনা হয়। যে মাইক্রো প্ল্যানের ভিত্তিতে ওই কাজটি হবে তার জন্য জেলার তিন পুরসভায় একটি এজেন্সি নিযুক্ত করা হয়েছে। এজেন্সির লোকজন পুরসভাকে সাহায্য করবে। মাইক্রোপ্ল্যান অনুযায়ী শহরে দৈনন্দিন সব্জির খোসা, নষ্ট খাবার সহ অন্যান্য পচনশীল বর্জ্য এবং প্লাস্টিক জাতীয় অপচনশীল বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে। পচনশীল বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ করে জৈব সারে পরিণত করা হবে। অপচনশীল বর্জ্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা পুনরায় ব্যবহারের যোগ্য করে তোলা হবে। গোটা প্রক্রিয়াটি বিজ্ঞানসম্মত ভাবে করা হবে। এতে একদিকে যেমন শহরে দূষণ কমবে, তেমনই বর্জ্য থেকে উৎপাদিত জৈব সার ও কঠিন পদার্থ পুনরায় কাজে লাগবে।
তিনি বলেন, গোটা প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠুভাবে করার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে জেলার তিনটি পুরসভার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। তারাই সমীক্ষা করে কটা গাড়ি, ভ্যাট সহ আনুষঙ্গিক সামগ্রী লাগবে তা ঠিক করবে। এর জন্য পুরসভার চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলারদের বড় ভূমিকা রয়েছে। তাঁরা যাতে এজেন্সির সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ তদারকি করেন তার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিষ্ণুপুর পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার রবীন্দ্রনাথ সরকার বলেন, বিষ্ণুপুরে ডাম্পিংগ্রাউন্ড নেই। তার জন্য বিষ্ণুপুরে জঞ্জাল ফেলা নিয়ে পুরসভার নাজেহাল অবস্থা হচ্ছে। সেকথা এদিনের বৈঠকে উত্থাপন করা হয়েছে। প্রধান সচিব জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। মাইক্রো প্ল্যান অনুযায়ী কঠিন বর্জ্য নিষ্কাশনের বন্দোবস্ত করা গেলে শহরের বাসিন্দারা ভীষণ উপকৃত হবেন।