সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
এদিনের প্রশাসনিক সভা থেকে তিনি বেলডাঙা-২, লালগোলা, ভরতপুর-১ এবং খড়গ্রাম ব্লকে ৬টি বন্যানিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। জেলায় পাঁচটি ক্ষুদ্র সেচপ্রকল্প, লঞ্চ এবং বেশ কয়েকটি বাসরুটের উদ্বোধন করেন। এছাড়া আরও বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করেন তিনি। প্রশাসনিক সভায় জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মণ্ডল, জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মীনা, পুলিস সুপার মুকেশ কুমার, মন্ত্রী জাকির হোসেন, এলাকার সংসদ সদস্য খলিলুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আগামীদিনে আরও বেশি করে মানুষের পাশে থাকার জন্য শুভেন্দুবাবু জনপ্রতিনিদের উন্নয়ন করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, গত নির্বাচনে জঙ্গিপুরের মানুষ আমাদের বিপুল ভোটে জিতিয়েছিলেন। তাঁদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। উন্নয়ন দিয়ে আমরা ঋণ শোধ করার চেষ্টা করব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই জেলায় কাজ করতে চাইছেন। কোথাও রাস্তা খারাপ থাকলে, কালভার্ট ভেঙে থাকলে কিংবা অন্য কোনও পরিষেবা ব্যাহত হলে তার তালিকা জনপ্রতিনিধিরা তৈরি করে আমাকে দিন। আমি কাজ করে দেখাব। বাজারগুলি আলোকিত করা হবে। ভাগীরথীর ভাঙন রোধে কাজ করা হবে। ভাঙন রোধে কেন্দ্রীয় সরকার কাজ করছে না। রাজ্যের পক্ষ থেকে সব করা হচ্ছে। এমপি এবং এমএলএদের বলব, কেউ সার্টিফিকেট নিতে এলে তা আপনারা দিয়ে দিন। মানুষকে হয়রান করার দরকার নেই।
জেলায় বৃষ্টির অভাবে এবার চাষের কাজ ব্যাপক ধাক্কা খেয়েছে। বিশেষ করে পাট চাষিরা সমস্যায় পড়েছেন। জেলা পর্যবেক্ষক বলেন, জেলায় এবার ৪৭শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। চাষিরা পাট জাঁক দিতে পারছেন না। আগামীদিনে সোলার পাম্প করা হবে। তবে ভূগর্ভস্থ জল যাতে দেদার না তোলা হয় সেদিকটাও আমাদের দেখতে হবে। মুর্শিদাবাদ জেলায় এনআরসি নিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সকাল হলেই লোকজন নথি সংগ্রহ কিংবা সংশোধন করতে সরকারি অফিসে ভিড় জমাচ্ছেন। ব্যাপক ভিড়ে কোথাও কোথাও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতিরও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, এনআরসি নিয়ে আপনাদের আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তৃণমূল সরকার যতদিন আছে, ততদিন এরাজ্যে এনআরসি হবে না। আপনাদের আতঙ্কের সুযোগ নিয়ে কোথাও কোথাও দালাল চক্র গজিয়ে উঠেছে। তারা ভুল তথ্য পরিবেশন করে মানুষের টাকা হাতানোর চেষ্টা করছে। এদের থেকে দূরে থাকুন। প্রশাসনকেও তিনি বিষয়টি দেখার জন্য বলেন।
এনআরসি নিয়ে সতর্ক করার পাশাপাশি এদিন শুভেন্দুবাবুর বক্তব্যে বারেবারেই ঘুরে ফিরে উন্নয়নের প্রসঙ্গ আসে। সামনের বিধানসভা নির্বাচনে সাফল্য পাওয়ার জন্য উন্নয়নই যে তৃণমূলের মূল ইউএসপি, সেটা তিনি ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেন। তবে তার জন্য জনপ্রতিনিধিদের তিনি কাজে স্বচ্ছতা রাখার পরামর্শ দেন।