সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
শুক্রবার সন্ধ্যায় গাংপুর গ্রামের বাসিন্দা বাবলু মণ্ডলের টিনের চালাবাড়িতে বোমা ফেটে বিস্ফোরণ ঘটে। যার জেরে উড়ে যায় চিলেকোঠা টিনের চাল। ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয় বাড়িটি। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে টিনের চাল প্রায় দেড়শো মিটার দূরে গিয়ে পড়ে। খবর পাওয়া মাত্রই এলাকায় এসে ঘটনার তদন্ত শুরু করে লোকপুর থানার পুলিস। তারা বাড়িটিকে ঘিরে রাখে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই ফেরার হয়ে যায় বাড়ির মালিক বাবলু মণ্ডল। পুলিস রাতে তার দুই ছেলে নিরঞ্জন ও মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে এই বিস্ফোরণ কাণ্ড নিয়ে এলাকায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, বাবলু এলাকায় বিজেপির হয়ে নেতৃত্ব দেয়। অন্যদিকে বিজেপির দাবি, বাবলু বিজেপি দলের কেউ নয়। সে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল।
খয়রাশোল ব্লকের দায়িত্বে থাকা তৃণমূল নেতা অরুণ চক্রবর্তী বলেন, লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে বাবুল বিজেপি দল করছে। তার আগে সে কোন দল করত বলতে পারব না। এলাকায় অশান্তি পাকাতে বিজেপি চক্রান্ত করে এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। আমরা পুলিসকে বিষয়টি পূর্ণ তদন্ত করে দেখার জন্য বলেছি।
এদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, বাবলু বিক্ষুব্ধ তৃণমূল। কোনওদিনই সে বিজেপি করেনি। তৃণমূলের নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল এই বিস্ফোরণ। তিনি বলেন, তৃণমূল সবেতেই বিজেপির ভূত দেখছে। এর আগে ওই এলাকায় তৃণমূল নেতা অশোক ঘোষ ও তাঁর ভাই দীপক ঘোষ, অশোক মুখোপাধ্যায়কে খুন করা হয়েছে। এই ব্লকের বড়রা গ্রামে শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্যর বাড়ি বিস্ফোরণ উড়ে গিয়েছে। স্থানীয় নেতৃত্বরা বিরোধীদের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, ধরা পড়েছে সেই তৃণমূলীরাই। এক্ষেত্রেও পুলিস সঠিক তদন্ত করলে জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে কারা জড়িত।
এদিকে স্থানীয় মানুষ থেকে পুলিসের একাংশের দাবি, বাবলু বিক্ষুব্ধ তৃণমূল। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এলাকার অবৈধ কয়লা কারবারের রাশ কার হাতে থাকবে এই নিয়েই শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব চলছেই। তাঁদের ধারণা, সেই দ্বন্দ্ব যে কোনও সময় বড় আকার ধারণ করতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই বাবলু বাড়িতে বোমা মজুত করে রাখতে পারে।