সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাপেরবাড়ি যাওয়ার জন্য বাঁকুড়া সদর থানার জগন্নাথবাটি গ্রামের বাসিন্দা ওই গৃহবধূ শুক্রবার দুপুরে বাড়ি থেকে বের হন। হেঁটেই তিনি বাপেরবাড়ি কাঞ্চনপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন। জঙ্গল লাগোয়া নির্জন রাস্তায় একা পেয়ে কয়েকজন যুবক তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ওই এলাকায় এক রাখাল গোরু চরাচ্ছিলেন। তিনি এক মহিলাকে ঘিরে কয়েকজন যুবককে কথা বলতে দেখেন। পরে অবশ্য তাদের আর সেখানে দেখা যায়নি। ঘটনাটি রাখাল ওই বধূর প্রতিবেশী এক ব্যক্তিকে জানান। তখন ওই প্রতিবেশী এবং তাঁর সঙ্গে থাকা অপর এক যুবক জঙ্গলে খোঁজাখুঁজি করেন। সেই সময় জঙ্গলের মধ্যে একটি ফাঁকা জায়গার আলে ওই বধূ এবং এক যুবককে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। সেখানে গেলে বধূর সঙ্গে থাকা যুবক ও কিছুটা দূরে থাকা অপর এক যুবক দৌড়ে পালায় বলে অভিযোগ। এরপর ওই বধূকে উদ্ধার করে তাঁর স্বামীকে বিষয়টি ফোনে জানান ওই প্রতিবেশী। ওই প্রতিবেশী বলেন, রাখালের কাছ থেকে খবর পেয়ে বধূকে উদ্ধার করা হয়। পরে ওঁর স্বামীকে ফোনে গোটা বিষয়টি জানাই। তাঁর পরামর্শ মতো আমি বধূকে বাইকে চাপিয়ে বাড়ি পৌঁছে দিই।
বধূর স্বামী বলেন, আমার স্ত্রী বাপেরবাড়ি যাব বলে বের হয়। এলাকার পথঘাট চেনা। তাছাড়া রাস্তায় সবসময় লোকজন যাতায়াত করছে। এর আগেও সে বহুবার একাই বাপেরবাড়ি গিয়েছে। কোনওদিন এরকম ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু, শুক্রবার এরকম ঘটনার কবলে পড়বে বুঝতে পারিনি। ওইদিন বিকেলেই আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমার বিশ্বাস, ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িয়ে আছে। দোষীদের চরম শাস্তি চাই।