সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
স্থানীয় কর্মীরা বলেন, লোকসভা ভোটের ফলাফলের পর সালেপুর-২ গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার বেশ কয়েকজন নেতা নানা চাপে পড়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। তখন থেকেই আমাদের এলাকায় দলীয় কার্যালয়টি বন্ধ হয়ে পড়েছিল। ফলে দিদির নানা কর্মসূচি, প্রকল্পের কথা আমরা গ্রামে গ্রামে প্রচার করতে পারছিলাম না। গ্রামবাসীরাও আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিলেন। কিন্তু, বর্তমানে স্থানীয় নেতৃত্বরা পুনরায় দলে ফেরায় আমরা সাহস পেয়েছি। আমরা আগামীদিনে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি সহ রাজ্য সরকারের নানা প্রকল্প নিয়ে গ্রামবাসীদের কাছে প্রচারে বের হব।
এবিষয়ে সালেপুর-২ পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্জিত অধিকারী বলেন, আমাদের শরীর বিজেপিতে গিয়েছিল ঠিকই, তবে আমাদের মন তৃণমূল দলেই ছিল। নানা চাপে পড়ে আমরা বাধ্য হয়ে তৃণমূল দল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখছি, হিন্দি বলয়ের সংস্কৃতি বাংলায় চালানোর চেষ্টা হচ্ছে। তাই আমার মনে হয়েছে, বাংলায় রাজনীতি করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারই সবচেয়ে ভালো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের জন্য কাজ করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় সরকার কোনও কাজই করতে পারছে না। এছাড়াও বিজেপিতে গিয়ে দেখেছি, আরামবাগের বুকে নানা কর্মসূচির নাম করে তোলাবাজি করা হয়েছে। তাই আমরা ওই দল ছেড়ে পুনরায় তৃণমূলে যোগদান করেছি।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের পরই আরামবাগের সালেপুর-২ পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্জিত অধিকারী, উপপ্রধান ঝুমা কারক সহ পঞ্চায়েতের আট সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে তৃণমূলের সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়েছিল। দলীয় কার্যালয়ও বন্ধ হয়ে যায়। এলাকার ক্ষমতার রাশ কার্যত বিজেপির হাতে চলে যায়। যার জেরে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা কিছুটা হলেও মুষড়ে পড়েছিলেন। ঘটনায় আরামবাগের ব্লক স্তরের নেতাদের কপালেও চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল। যদিও বিজেপিতে গিয়ে গুরুত্ব না পাওয়ায় ওই নেতারা ফের তৃণমূলে ফিরে আসার জন্য যোগাযোগ করেন। তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বও এবিষয়ে সবুজ সংকেত দেয়। সেই মতো শুক্রবার সালেপুর-২ পঞ্চায়েতের আট দলত্যাগী নেতা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তারপরই এদিন সঞ্জিতবাবুর নেতৃত্বে বড়ডঙ্গোল গ্রামে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা তৃণমূল কার্যালয়টি খোলা হয়। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নও করা হয়। আগামী দিনে দলের তরফ থেকে নানা কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
বিজেপি ছেড়ে ওই নেতাদের ফের তৃণমূলে যোগদানের প্রসঙ্গে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, ওরা আমাদের দলে এসে দেখেছে, বিজেপিতে দুর্নীতির কোনও জায়গা নেই। ওদের হাত, পা বাঁধা হয়ে গিয়েছিল। মানুষের জন্য ভাবতে হচ্ছিল। তাই ফের নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য তারা তৃণমূলে যোগ দিয়েছে।