গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় গাড়িচালক সোমাদিশের স্ত্রী দিন সাতেক ধরে বাপেরবাড়িতে ছিলেন। শুক্রবার স্ত্রীকে আনতে শ্বশুরবাড়ি যান তিনি। মৃতের শাশুড়ি গৌরী বাউরি বলেন, জামাই মদ খেয়ে বাড়িতে আসায় মেয়ের সঙ্গে অশান্তি হয়। মেয়ে শ্বশুরবাড়ি যেতে অস্বীকার করলে জামাই বাড়ি ফিরে যায়। পরিবারের দাবি, স্ত্রী ফিরে না আসায় শনিবার সকালে বাড়িতে থাকা কার্বোলিক অ্যাসিড খেয়ে নেন সোমাদিশ। তাঁকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তিনি মারা যান। এদিকে স্বামীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে বাপেরবাড়িতে নিজের গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে নেয় রেখা। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে, শুক্রবার মাড়গ্রাম থানার দুনিগ্রামে কীটনাশক খেয়ে এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম আনারুল শেখ(৫৮)। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা আনারুল রেলের ঠিকাশ্রমিকের কাজ করতেন। জানা গিয়েছে, ওইদিন দুপুরে বাড়িতেই কীটনাশক খান আনারুল। তাঁকে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করলে রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের ভাইপো আজিমুদ্দিন শেখ বলেন, কাকা ধারদেনা করে পাকা বাড়ি করেছেন। ঠিকাশ্রমিকের কাজ করে সেই ঋণ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। পাওনাদাররা টাকা মেটানোর জন্য কাকাকে খুব চাপ দিচ্ছিল। তাতেই মানসিক অবসাদে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
অপরদিকে, শুক্রবার গভীর রাতে নলহাটি থানার বিলকান্দি গ্রামের গৃহবধূ শুক্লা মণ্ডলরায়(৩২) কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রাতে কীটনাশক খাওয়া অবস্থায় রামপুরহাটে হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। ভোররাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পারিবারিক অশান্তির জেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিসের দাবি। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের না হওয়ায় পুলিস অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।