কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমানের পুরানো রেলওয়ে ওভারব্রিজের বয়স প্রায় ৮০ বছর। ওই ব্রিজের অবস্থা একেবারে জীর্ণ হয়ে পড়েছে। ওই পুরানো ব্রিজ বাতিল করার জন্য পাশেই ঝুলন্ত রেলওয়ে ওভারব্রিজ তৈরি করা হয়েছে। রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড কর্তৃপক্ষ এই নতুন ওভারব্রিজ তৈরি করেছে। রেলের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। ওভারব্রিজের মুখে ও উপরে কিছু ট্রাফিক সিগন্যাল বসানোর কাজ বাকি রয়েছে। সেই কাজ অল্পদিনেই শেষ করা সম্ভব। চাঙর খসে পড়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে গত ১২ সেপ্টেম্বর ভোররাত থেকে এই পুরানো ওভারব্রিজে ভারী যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল রেল। কিন্তু, আগাম নোটিস না দেওয়ায় ব্যাপক যানজট হয়। দুপুরে ফের চালু করতে হয়। তবে, গত রবিবার সকাল ৬টা থেকে জেলা প্রশাসনের তরফে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ও ভারী যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।
পুরানো ওভারব্রিজের দুই মুখেই হাইট গেজ বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাতে একটি লরি ওভারব্রিজে উঠতে গিয়ে হাইট গেজ ভেঙেও দেয়। তারপর আবার নতুন করে লাগানো হয়। বাস ও ভারী যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। দূরপাল্লার বাস ও লরিগুলিকে পালিতপুর হয়ে ঘুরে গেলেও বর্ধমান-কালনা ও বর্ধমান-কাটোয়া রুটের বাসগুলি ওভারব্রিজের মুখে. দাঁড়িয়ে পড়ছে। নবাবহাট বাসস্ট্যান্ডে ঢুকছে না। তাতে সমস্যা পড়ছেন যাত্রীরা। দ্বিতীয়ত, পুজোর সময় গাড়ির যেমন চাপ বাড়বে, তেমনই শহরে দর্শনার্থীদেরও ভিড় বাড়বে। এই অবস্থায় যদি নতুন ওভারব্রিজ চালু না করা যায় তাহলে শহরে ব্যাপক যানজট তৈরি হবে। পুরানো ওভারব্রিজের উপরেও ছোট গাড়িরও অত্যধিক চাপ পড়বে।
তাই নতুন ওভারব্রিজ চালু করার তোড়জোড় চলছে। ওভারব্রিজের নীচের জায়গাকে কীভাবে কাজে লাগানো যায় সে ব্যাপারে গত আগস্ট মাসেই বৈঠক হয়েছিল। ট্রাফিক গার্ড অফিস, দোকান, বাজার, পার্কিং এলাকা, পানীয় জলের ব্যবস্থা, শৌচালয় প্রভৃতি কোথায় কীভাবে করা হবে তার একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নীচের জায়গা যেহেতু পূর্তদপ্তরের, তাই তাদের কাছ থেকেই জায়গা নিতে হবে। এর জন্য পূর্তদপ্তরের কাছ থেকে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ নিতে হবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যেহেতু এই নতুন ওভারব্রিজ রাজ্যের প্রথম ঝুলন্ত রেলওয়ে ওভারব্রিজ, তাই ঘটা করে উদ্বোধন করার কথা হয়েছিল। কিন্তু, সেই সময় নেই। দ্বিতীয়ত, যেহেতু রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড এই ওভারব্রিজ তৈরি করেছে, তাই চালু করার আগে তাদের লিখিত অনুমতি লাগবে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, বেলের অনুমতি পেলেই পুজোর আগেই চালু করে দেওয়া হবে। মহালয়ার দিনও উদ্বোধন হতে পারে। ছোটখাট যা কাজ বাকি রয়েছে, প্রয়োজনে তার পরে করা হবে।