কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার নানুরের চারকলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের কিছুটা দূরে মাঠে মাটির নীচে পুঁতে রাখা হয়েছিল ওই ড্রামভর্তি বোমাগুলি। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, ড্রামটিতে প্রায় ২০-২৫টি বোমা রয়েছে। ঘটনাস্থল ঘিরে রাখে নানুর থানার পুলিস। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর থেকে বম্ব স্কোয়াডের সদস্যরা গিয়ে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করবে। কে বা কারা বোমাগুলি মজুত করেছিল সেই বিষয়ে জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
এছাড়াও সোমবার রাতে বীরভূমের সদাইপুর থানার সাহাপুর এলাকা থেকেও পুলিস বেশ কিছু বোমা উদ্ধার করেছে। পুলিস জানিয়েছে, প্রায় ১৭টি বোমা ছিল। তার মধ্যে একটি সকেট বোমাও রয়েছে। সাহাপুরে তৃণমূলের এক নেতার বাড়ির পাশে ঝোপে বোমাগুলি রাখা ছিল। খবর পেয়ে সেগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। কী উদ্দেশ্যে ওই বোমাগুলি সেখানে মজুত করে রাখা হয়েছিল পুলিস তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবারই নানুর ও সদাইপুরে পুলিস প্রচুর বোমা উদ্ধার করেছিল। ফের পৃথক দুই থানা এলাকা থেকে বোমা উদ্ধার হওয়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। উল্লেখ্য, বিগত দু’মাস ধরে নানুরের বিভিন্ন গ্রাম থেকে দফায় দফায় পুলিস প্রচুর বোমা উদ্ধার করেছে। জেলাজুড়ে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু দুষ্কৃতীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু, তারপরও বোমার জোগান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইতিমধ্যে জেলার সদাইপুর, লাভপুর, কাঁকরতলা প্রভৃতি এলাকায় বোমা বিস্ফেরণে আস্ত বাড়ি উড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া বারবার বিভিন্ন জায়গা থেকে বোমা উদ্ধারে বাসিন্দারা আতঙ্কিত রয়েছেন। বাসিন্দাদের দাবি, বোমা তৈরি ও মজুত করার ঘটনায় পুলিস আরও তৎপর হোক।