পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জাহান্নগর প্রাথমিক স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুল কর্তৃপক্ষর তরফে ওই স্কুলকে স্মার্ট স্কুল গড়তে তিন মাস আগে প্রস্তুতি শুরু হয়। পড়ুয়াদের মায়েদের নিয়ে বিশেষ আলোচনায় বসেছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। স্কুল পড়ুয়াদের স্বার্থে অতিরিক্ত কিছু করতে গেলে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা প্রয়োজন। সরকারি সাহায্যের বাইরে চাঁদা চাইতে হবে তাঁদের কাছে গিয়ে। তবে চাঁদার বদলে কেউ কোনও সরঞ্জাম দান করলে বেশি গ্রহণযোগ্য হবে। স্মার্ট স্কুল গড়তে ছ’মাস সময় নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মায়েদের উৎসাহে তিনমাসের মধ্যে সেই লক্ষ্য পূরণ হয়ে যায়। কেউ কিনে দিলেন কম্পিউটার, কেউ দিলেন সিলিং ফ্যান, তো কেউ দিলেন প্রজেক্টর মেশিন, সাউন্ড সিস্টেম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্যেও স্থানীয়রা আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন। পঞ্চায়েত প্রধান সুভাষ ঘোষ ব্যক্তিগতভাবে ৬০হাজার টাকা দিয়ে প্রজেক্টর মেশিন উপহার দিলেন জাহান্নগর প্রাথমিক স্কুলকে। ভাতশালার অমর দেবনাথ কিনে দিলেন একটি কম্পিউটার ও সাউন্ড সিস্টেম। এলাকার নরেশ দেবনাথ, অমর সমাদ্দার, কনকলাল নাথ, মদন সরকার প্রমুখরা ব্যক্তিগতভাবে একটি করে নতুন কম্পিউটার দিয়েছেন ওই স্কুলকে। নবদ্বীপের একটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানকেও যুক্ত করা হয়েছে জাহান্নগর প্রাথমিক স্কুলের সঙ্গে। তারা প্রতি সপ্তাহে দু’জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে পাঠাবে ওই স্কুলে। প্রতি পড়ুয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে নজরদারি চালাবেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। একঘণ্টা করে প্রজেক্টর মেশিনের মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষামূলক বিষয় খুদে পড়ুয়াদের দেখানো হবে।
ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অমরেশ দেবনাথ বলেন, প্রথমে ভাবতেই পারিনি বাসিন্দারা স্মার্ট স্কুল গড়তে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন। যাঁদের কাছেই আমরা গিয়েছি, তাঁদের কেউ আমাদের নিরাশ করেননি। অনেক বৈদ্যুতিক পাখাও দিয়েছেন। আরও অনেকে নতুন কম্পিউটার দিতে চেয়েছেন। পড়ুয়াদের মায়েরা ভীষণভাবে সহযোগিতা করছেন। তাঁদের কাছেও আমরা কৃতজ্ঞ। পঞ্চায়েত প্রধান ব্যক্তিগতভাবে একটি প্রজেক্টর মেশিন কিনে দিয়েছেন। সরকারি সাহায্যের বাইরে আমরা এইসব সাহায্য জোগাড় করেছি। এই সম্পদ আমাদের সঠিকভাবে পরিচালিত করতে হবে।