গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পে খরুণ গ্রামের ভিতর হয়ে তারাপীঠ যাওয়ার রাস্তাটি পিচের করা হয়। শুধু খরুণ গ্রাম নয়, তারাপীঠ, রামপুরহাট, মল্লারপুর সহ প্রায় ১২টি গ্রামের মানুষ এই রাস্তায় চলাচল করেন। রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম ৬০নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে খরুণ মোড় দিয়ে খুব সহজেই তারাপীঠ পৌঁছে যাওয়া যায়। অভিযোগ, দু’বছরের মধ্যে সেই পিচ উঠে রাস্তাটি খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। যার জেরে প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। এরপর থেকে বহুবার আবেদন নিবেদন করা সত্ত্বেও রাস্তাটি সংস্কারের ব্যাপারে প্রশাসনের কোনও হেলদোল লক্ষ্য করা যায়নি বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। এরই প্রতিবাদে এদিন সকালে খরুণ গ্রামের মোড়ের কাছে জাতীয় সড়কের ধারে প্লাকার্ড হাতে রাস্তা সংস্কারের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ করেন এলাকার প্রবীণ মানুষেরা। তাঁদের দাবি, আশেপাশের সব রাস্তা সংস্কার করা হলেও কেন এই রাস্তা সারাই করা হচ্ছে না? প্রবীণ বাসিন্দা সন্তোষ কর্মকার বলেন, রাস্তাটি ৪.৩কিলোমিটার। কিন্তু, সেই সময় ৩.২কিলোমিটারের পর রাস্তা পিচের করা হয়। বাকি রাস্তা বেহাল হয়েই পড়ে থাকে। সেই সময় দাবি করেও ওই ব্যাপারে কোনও উত্তর পাইনি। রাস্তাটির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১২লক্ষ টাকা ছিল। কিন্তু, সেই টাকাও খরচ করা হয়নি। ফলে, পাঁচবছর ধরে রাস্তাটি চলাফেরার অযোগ্য হয়ে উঠেছে। রাতের দিকে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে বেহাল রাস্তার কারণে অ্যাম্বুলেন্স আসতে চাইছে না। বহুদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও আজ পর্যন্ত কেউ ফিরে তাকায়নি।
এলাকার বাসিন্দা তথা বিশ্বভারতী গ্রন্থাগারের প্রাক্তন ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান সনৎ প্রামাণিক বলেন, পাথর ও বালিবোঝাই ভারী যানবাহন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করায় দিন দিন রাস্তাটি মরণফাঁদে পরিণত হচ্ছে। সংস্কারের অভাবে রাস্তাটি পাঁচ বছর ধরে বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। টোটো পর্যন্ত আসতে চাইছে না। স্কুল যেতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছে পড়ুয়ারা। তাই আমরা অবস্থান বিক্ষোভের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম।
এব্যাপারে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলেন, রাস্তাটি অনেকদিন ধরেই খারাপ। গ্রামবাসীদের আন্দোলন অমূলক নয়। রাস্তাটি মেরামতের জন্য জেলা পরিষদে আবেদন করা হয়েছিল। এছাড়া যেহেতু খরুণ গ্রামটি টিআরডিএর অধীনে, তাই টিআরডিএতেও আবেদন করা হয়েছে। টিআরডিএর ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার মুখোপাধ্যায় আগামী মার্চ-এপ্রিল মাসে রাস্তাটি সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন। যদিও গ্রামবাসীরা বলেন, মার্চ মাস আসতে এখনও পাঁচ মাস দেরি। এর মধ্যে বেহাল রাস্তায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় কি প্রশাসন নেবে?