কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আঙারপুর গ্রামের পেশায় টোটোচালক অভিযুক্ত মুকুলের বাড়ি গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় ফ্লাড শেল্টারের কাছে। বাড়িতে স্ত্রী ছাড়াও বাবা-মা রয়েছেন। তবে রেহেনা মুকুলের দ্বিতীয়পক্ষের স্ত্রী। বছর দেড়েক আগে রানিপুর গ্রামের রেহেনার সঙ্গে প্রণয়সম্পর্ক থেকে মুকুলের বিয়ে হয়। দ্বিতীয় স্ত্রীকে ঘরে তোলামাত্র প্রথম স্ত্রী তাজমিরা বিবি স্বামীর ঘর ছেড়ে ওই গ্রামের বাপের বাড়ি চলে যান। প্রথম পক্ষের কোনও সন্তান ছিল না।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, মুকল নতুন বিয়ে করার পর ওই পরিবারে কয়েকমাস ধরে সাংসারিক অশান্তি চলছিল। এমনকী কন্যাসন্তান হওয়ার পর অশান্তি আরও বেড়ে যায়। গত দু’দিন ধরে লাগাতার ওই পরিবারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে মুকুলের ঝামেলা চলছিল। এরপর এদিন বেলা ১২টা নাগাদ মুকুল স্ত্রী রেহেনা ও তিনমাসের শিশুকন্যা সিমাকে কুয়ে নদীর পাড়ে নিয়ে যায়। অভিযোগ, সেখানে রেহেনাকে মারধর করে ও মেয়ের গলা টিপে খুন করার পর তাকে মাটিতে আছড়ে ফেলে। পরে ঘটনাস্থলে চিৎকার শুনতে পেয়ে তিনজনকেই গ্রামবাসীরা ফ্লাড শেল্টারে ধরে নিয়ে যান। থানায় খবর দেওয়া হয়। সেখানে পুলিস পৌঁছে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। মুকলকে আটক করা হয়। পরে স্বামীর বিরুদ্ধে মেয়েকে শ্বাসরোধ করে আছড়ে ফেলার অভিযোগ করেন রেহেনা।
শিশুর মা রেহেনা বিবি বলেন, আমাকে ঠকিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিল। এনিয়ে প্রথম থেকেই ঝামেলা চলছিল। সেটা মেনে নেওয়ার পরেও আমার ও মেয়ের উপর নির্যাতন চালাত। এদিন আমার সঙ্গে গোপন কথা আছে বলে নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে আমাকে মারধর করে ও মেয়েকে মেরে ফেলে।
এদিকে ঘটনার জেরে ওই গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। মৃতার ঠাকুমা খোসমুন বিবি বলেন, ছেলে নতুন বউ বাড়িতে আনার পরে ঝামেলা হতো। কিন্তু সেসবের মধ্যে আমরা থাকতাম না। এদিনের ঘটনার কথাও আমরা কিছু জানি না। স্থানীয় আলুগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, এটি একটি মর্মান্তিক ঘটনা। তিনমাসের সন্তানকে মেরে ফেলেছে। অভিযুক্তের যেন কঠোর শাস্তি হয়।
ভরতপুর থানার পুলিস জানিয়েছে, তিনমাসের কন্যা সন্তানকে গলা টিপে আছড়ে মেরে ফেলার ঘটনায় বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে। অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।