পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শ্যামলবাবু বলেন, জয়পুরে জয়পুর ব্লক প্রাইমারি হাসপাতাল থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির পরিকাঠামো ঢেলে সাজানো হয়েছে। কিন্তু, এলাকার বহু প্রত্যন্ত গ্রামে বিশেষ করে ব্লকের উত্তরবাড় ও জগন্নাথপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। ওই সব এলাকায় গর্ভবতী ও প্রসূতি মহিলাদের হাসপাতালে আনার ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হয়। সেজন্য এদিন একটি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে। ১০২নম্বরে ফোন করলে সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যন্ত গ্রামেও গর্ভবতী মায়েদের আনার জন্য বাড়িতে অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছে যাবে। শুধু তাই নয়, প্রসবের পর স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ছুটি নিয়ে ফেরার সময়েও অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে। এর জন্য কোনওরকম টাকা দিতে হবে না। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ওই পরিষেবা প্রদান করা হবে। এদিন তার শুভ সূচনা হয়েছে।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে গোটা রাজ্যের সঙ্গে বাঁকুড়াতেও ১০০শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। তার জন্য গ্রামে গ্রামে আশাকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানিক প্রসবের সুবিধা বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে সচেতনতা মূলক কর্মসূচি নেওয়া হয়। তা সত্বেও জেলার বেশ কিছু এলাকায় বাড়িতে প্রসবের ঘটনা ঘটছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলায় সবথেকে বেশি বাড়িতে প্রসবের ঘটনা ঘটেছে জয়পুর ও বিষ্ণুপুর ব্লক এলাকায়। জয়পুরের উত্তরবাড়, বাকাটি, খড়িকাশুলি এবং বিষ্ণুপুরের খড়কাটা, শিরোমণিপুর প্রভৃতি এলাকায় প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার সন্তোষজনক নয়। তাই ওই সব এলাকায় গর্ভবতী মহিলারা যাতে প্রসবের জন্য হাসপাতালে আসেন তার জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে। এদিন তার উদ্বোধন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই এলাকার আশা কর্মীদের কাছে গর্ভবতী মহিলাদের যাবতীয় তথ্য থাকে। তাই তাঁরা যাতে আগে থেকেই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এবং তিনিই যাতে অ্যাম্বুলেন্সকে সময় মতো খবর দিয়ে দেন সেই বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।