গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গত শনিবার ও রবিবার কালনা-১ ব্লকের আটঘড়িয়া সিমলন এলাকায় ‘দিদিকে বলো’ জনসংযোগ কর্মসূচি কবতে গিয়েছিলেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পদপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। সেই সময় অমূল্য বড়াল, রসনা বিবি, নিশীথ সিংহরায়, ছবি হাঁসদা প্রমুখরা মন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন, তাঁরা প্রতিবন্ধী। তাঁদের বয়সও হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে তাঁরা অক্ষম। কোনও কাজ করতে পারেন না। সরকারিভাবেও তেমন কোনও সাহায্যও পান না। তখন মন্ত্রী তাঁদের প্রশ্ন করেন, আপনাদের প্রতিবন্ধী কার্ড রয়েছে? তাহলে সরকারি সুবিধাগুলির ব্যাপারে আমরা দেখব। তখন ওই বাসিন্দারা বলেন, প্রায় ১৮ জনের কার্ডই নেই। তখনই মন্ত্রী বলেছিলেন, আপনাদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। আমরা দায়িত্ব নিয়ে প্রতিবন্ধী কার্ড করার জন্য আপনাদের মেডিক্যাল ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করব।
মঙ্গলবার সকালেই মন্ত্রীর নির্দেশে দলের নেতারা গাড়ি নিয়ে ওই গ্রামে পৌঁছে যান। মন্ত্রীর গাড়ির খরচ দিয়ে দিয়েছিলেন। সেই গাড়িতে ওই ১৮ জন বাসিন্দাকে চাপিয়ে কালনা মহকুমা হাসপাতালে হাজির করানো হয়। মন্ত্রীও বাড়ি থেকে হাসপাতালে যান। মন্ত্রীর কথায়, প্রতিবন্ধী কার্ড দেওয়ার আগে কে কত শতাংশ প্রতিবন্ধী তার জন্য এই কালনা হাসপাতালে প্রতিমাসের দ্বিতীয় মঙ্গলবার এবং শেষ মঙ্গলবার মেডিক্যাল বোর্ড করা হয়। তাই এদিন হাজির করানো হয়েছিল। ওই বোর্ডে হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বড়াই ও সহকারী সুপার গৌতম বিশ্বাসের উপস্থিতিতে ওই ১৮ জনেরই মেডিক্যাল বোর্ড করা হয়। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই এই হাসপাতালে এসে ঝাঁটা হাতে সাফাই অভিযানে সামিল হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মন্ত্রী। তবে, এদিন আধুনিক সাফাই যন্ত্রপাতি ব্যবহার দেখে তিনি খুশি হন। তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
মন্ত্রীর এই উদ্যোগে ছবি হাঁসদা ও নিশীথ সিংহরায় বলেন, আমরা প্রতিবন্ধী হলেও এতদিন আমাদের প্রতিবন্ধী কার্ডই হয়নি। মন্ত্রীর উদ্যোগে আমরা হয়ত এবার শীঘ্রই কার্ড হাতে পেয়ে যাব। আমাদের এলাকার মন্ত্রীকে ধন্যবাদ। তিনি উদ্যোগ না নিলে আমরা বঞ্চিত হয়ে থেকে যেতাম। কালনা মহকুমা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বড়াই বলেন, এদিন মন্ত্রীমশাই কয়েকজনকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন। তাঁদের মেডিক্যাল বোর্ড করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ওই ১৮জনই গ্রামের গরিব মানুষ। তাঁরা প্রতিবন্ধী হলেও তাঁদের কার্ড ছিল না। অক্ষম হওয়া তাঁরা হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ডেও এতকাল হাজির হতে পারেনি। তাঁদের কাছে টাকাও ছিল না। তাই আমি এদিন গাড়িতে চাপিয়ে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেছিলাম। প্রত্যেকের মেডিক্যাল বোর্ড হয়েছে। সেই অনুযায়ী, তাঁরা এবার প্রতিবন্ধী কার্ড হাতে পেয়ে যাবেন। তারপর আমরা তাঁদের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের আওতায় নিয়ে এসে সাহায্যও করতে পারব। ওই মানুষগুলিও উপকৃত হবেন। তাই এই উদ্যোগ।