কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দুর্গাপুজোর ছুটিতে কেউ বেড়াতে যাবেন না। বরং সেই সময় এলাকায় জনসংযোগ আরও বাড়িয়ে তুলুন। সম্প্রতি দলীয় কর্মী সমর্থকদের এই নির্দেশ দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন উত্সবের মরশুমকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন মমতা। পুজোর ছুটিতে এলাকায় জনসংযোগ বাড়ানোর জন্য দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সংগঠনের কাজ পুজোর ছুটিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। নেত্রী আরও জানিয়েছেন, পুজো মণ্ডপের মধ্যে কোনও দলীয় পতাকা, ফেস্টুন থাকবে না।
নেত্রীর বার্তার পরে নদীয়া জেলার দলের পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন। নিজেদের এলাকায় প্রতিটি পুজো মণ্ডপে জনপ্রতিনিধিদের থাকতে বলা হয়েছে। এব্যাপারে রাজীববাবুকে জিজ্ঞাসা করে হলে তিনি বলেন, এব্যাপারে জনপ্রতিনিধিদের কাছে ইতিমধ্যেই মৌখিক নির্দেশ গিয়েছে। লিখিত নির্দেশও আমরা কয়েক দিনের মধ্যে পাঠিয়ে দেব। আমরা বলেছি, অনুগামীদের ভিড় না বাড়িয়ে জনপ্রতিনিধিদের পুজোর দিনগুলিতে মানুষের মধ্যে মিশে যেতে হবে। নিরাপত্তারক্ষীদের বাড়াবাড়িও খুব একটা বেশি যেন কারও না থাকে, সেব্যাপারেও বলা হচ্ছে। বইয়ের স্টল, হেল্প ডেস্ক বা কিয়স্ক করতেও বলা হয়েছে। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হবে সাধারণ মানুষ হয়েই। কেউ কোনও অভাব অভিযোগ যদি ওই সময় জানাতে আসে, সেটাও মন দিয়ে শুনতে হবে। নিজের নিজের এলাকায় জনপ্রতিনিধিরা এই নির্দেশ মেনে চলবেন বলেই আমরা আশাবাদী।
বিজেপিও হাঁটতে চলেছে একই পথে। দলের এক নেতার কথায়, জনসংযোগ কর্মসূচি বিজেপির পুজো উদযাপনেরই একটি অন্যতম অঙ্গ। বুক স্টলের মাধ্যমে যেমন আমরা প্রচার চালাব, তেমনই খোলা হবে জলসত্র। তাছাড়া, এক্ষেত্রে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়েও প্রচার হবে। দলীয় সূত্রের খবর, বুক স্টল হোক, অথবা জলসত্র, কিংবা শারদীয়া শুভেচ্ছার ফ্লেক্স, সবকিছুর পরিমাণ এবার বাড়ছে। ২০১৮ সাল থেকেই দুর্গাপুজোকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে শুরু করে বিজেপি। এবার আরও বেশি করে অংশগ্রহণের কথা বলা হয়েছে। গতবার যেখানে বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেলে বুক স্টল এবং জলসত্রের পরিমাণ যা ছিল, এবার তাও বাড়াতে বলা হয়েছে। বিজেপি নেতাদের ব্যাখা, রাজ্যে এবারের লোকসভা নির্বাচনে দলের ফল অত্যন্ত ভালো হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছে দল। ফলে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে দলের এই শক্তিবৃদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে জনসংযোগে জোর দিতে চাইছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এব্যাপারে নদীয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, এ বছর পুজোয় জনসংযোগ বাড়ানোর ব্যাপারে বিশেষ জোর দিতে বলা হয়েছে। আমরা স্টল বা জলসত্র করব। পাশাপাশি বস্ত্র দান বা এরকম আরও বেশ কিছু কর্মসূচিও থাকছে। এর সঙ্গে বেশকিছু প্রকল্প বা সাফল্যের বিষয়েও প্রচার চালানো হবে।
এই মুহূর্তে তৃণমূলের ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি চলছে জোরকদমে। কৃষ্ণনগরে এসে ‘চা চক্রে দিলীপ দা’ কর্মসূচি শুরু করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু তারপরেও পুজোয় জনসংযোগ কেন? রাজনৈতিক মহল মনে করছে, দুর্গাপুজো নিয়ে মানুষের মধ্যে একটা আবেগ কাজ করে। পাড়া প্রতিবেশী সকলে মিলে একটা পরিবার হয়ে ওঠে। এই সময়ে মানুষের কাছাকাছি পৌঁছনো অনেক সহজ হয়। সে কারণেই এই প্রচেষ্টা। তারজন্যই শাসক-বিরোধী সবাই পুজোর আবেগকে কাজে লাগাতে চাইছে।