ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
বিদ্যুৎদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রাহকের বাড়ি পূর্বস্থলী-১ ব্লকের নাদনঘাট থানার আকবপুর এলাকায়। তার বাড়িতে বৈধ মিটার রয়েছে। কিন্তু, তা থেকে সে বিদ্যুৎ ব্যবহার করত না। মিটারের সংযোগের আগেই হুকিং করে সে বাড়ির বিদ্যুৎ ব্যবহার করত। সেই খবর পেয়ে হেড কোয়ার্টারের ভিজিল্যান্স টিম এবং বিদ্যুৎদপ্তরের আধিকারিকেরা গত ৬ সেপ্টেম্বর আচমকা অভিযান চালান। তাঁরা ওই গ্রাহকের বাড়িতে গিয়ে হাতেনাতে হুকিং ধরে ফেলেন। তারপর ওইদিনই নাদনঘাট থানায় ওই গ্রাহকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। যার এফআইআর নম্বর-২৮৩/১৯। পাশাপাশি, হুকিং করে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে ওই গ্রাহকের দু’লক্ষ ৪৯ হাজার ৮৬০ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, হুকিং করে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে গত আগস্ট মাসেই এই নাদনঘাট দু’জনের নামে এফআইআর দায়ের করেছিল বিদ্যুৎদপ্তর। তাদের মধ্যে একজন গ্রাহক ছিল। সেও একইভাবে বৈধ মিটার থাকা সত্ত্বেও হুকিং করে বিদ্যুৎ চুরি করেছিল। তার প্রায় দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছিল। অপরজন গ্রাহক ছিল না। সে হুকিং করেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করত। তার প্রায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছিল।
স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, কালনা ডিভিশনের বহু জায়গায় হুকিং করে বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছে। অথচ, সাধারণ গ্রাহকেরা টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ নিচ্ছেন। চুরির জন্য সরকারের ক্ষতিও হচ্ছে, সেই সঙ্গে বিদ্যুতের পরিষেবা উপরও চাপ পড়ছে। স্থানীয়দের দাবি, বিদ্যুৎদপ্তরের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ চুরি নিয়ে লাগাতার অভিযান চলছে বলে আগের তুলনায় হুকিং কমেছে। তবে, পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। আগে যারা সারাদিন হুকিং লাগিয়ে রাখত, এখন তাদের অনেকেই ধরা পড়ার ভয়ে দিনের বেলায় হুক খুলে দিচ্ছে। রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে তারা হুক করছে। এলাকার গ্রাহকদের দাবি, বিদ্যুৎ চুরি নিয়ে লাগাতার অভিযান চালানো দরকার। কারণ, সাধারণ গ্রাহকেরা টাকা দিয়ে বিদুৎ পরিষেবা পান। তাই বিদ্যুৎদপ্তরের এই কড়া পদক্ষেপে এলাকার অনেকেই খুশি।
বিদ্যুৎদপ্তরের দাবি, পুজোর সময় অভিযান বাড়ানো হবে। তবে, বিদ্যুৎ চুরির অভিযান প্রতিমাসেই হয়। বিদ্যুৎদপ্তরের কালনা ডিভিশনেই প্রতিমাসে গড়ে ৩০টি বেশি এফআইআর দায়ের হয়। এ ব্যাপারে কালনা বিদ্যুৎদপ্তরের ডিভিশনাল ম্যানেজার কৌশিক মণ্ডল বলেন, গত ৬ তারিখ এক গ্রাহকের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। আড়াই লক্ষ টাকার মতো জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে। বিদ্যুৎ চুরির বিরুদ্ধে অভিযান জারি রয়েছে।