বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জেলা পরিকল্পনা রূপায়ণ আধিকারিক তীর্থঙ্কর বিশ্বাসকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাস করা হলে তিনি বলেন, বিএডিপিতে টাকা বরাদ্দ হয়ে গিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী খুব তাড়াতাড়িই কাজ শুরু হয়ে যাবে। গতবারের থেকে এবছর বেশি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় সীমান্তবর্তী এলাকা হিসেবে চিহ্নিত রয়েছে ২২৪ কিলোমিটার। সাতটি ব্লকে বিএডিপিতে (বর্ডার এরিয়া ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম) কাজ হয়ে থাকে। তারমধ্যে রয়েছে করিমপুর ১,২, তেহট্ট ১, চাপড়া, কৃষ্ণগঞ্জ, হাঁসখালি, রানাঘাট ২ ব্লক। জেলা প্রশাসনের ওই কর্তা বলেন, এই টাকায় সীমান্ত এলাকার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে নানা কাজ হয়। এবার কোন কোন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কাজ হবে তা আগে থেকেই চিহ্নিত করা রয়েছে। কাজগুলির মধ্যে রয়েছে, রাস্তাঘাট তৈরি, পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা, কমিউনিটি হল নির্মাণ, ফার্মার শেড সহ আরও বেশ কিছু নির্মাণ। এছাড়া, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরি, নদী ভাঙন রোধের কাজ, ট্রেনিং সেন্টার তৈরির কাজও হয়।
কী কী কাজ হবে এলাকায় বিডিও এবং বিএসএফের থেকে তা জমা পড়ে। এরপর এই সংক্রান্ত ডিস্ট্রিক্ট লেভেল সিলেকশন কমিটি কাজের ব্যাপারে অনুমোদন দেয়। কী কী কাজ হবে তা চূড়ান্ত হয়। দফায় দফায় বৈঠকের পরই এ বছর ১৬২ টি কাজের তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকগুলিতে জেলা প্রশাসন এবং বিএসএফের পদস্থ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে এই প্রোগ্রামে ২০১৭-১৮ সালে ২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। তবে ২০১৮-১৯ সালে বরাদ্দের পরিমাণ কিছুটা কমেছিল। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, করিমপুর ১ ব্লকে ৪৬ কিলোমিটার এলাকা, করিমপুর ২ ব্লকে ৩৪.৪ কিলোমিটার, তেহট্ট ১ ব্লকে ৪৪ কিলোমিটার, চাপড়ায় ৩৫ কিলোমিটার, কৃষ্ণগঞ্জে ৪০ কিলোমিটার, হাঁসখালিতে ৪০ কিলোমিটার, রানাঘাট ২ ব্লকে ৮.৫ কিলোমিটার এলাকায় এই প্রকল্পে কাজ হয়।
এবছর কাজের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল, এক কোটি টাকা ব্যয়ে করিমপুর হাসপাতালকে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট করা ও অপরেশন থিয়েটার সঙ্গে লেবাররুম করা। করিমপুরে মানুষের এই দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। এই টাকায় ওই কাজ হওয়ার খবরে খুশি এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা বলেন, হাসপাতালের উন্নয়ন হলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন। এছাড়া, করিমপুর ১ ব্লকের পিপুলবেরিয়া, শিকারপুরে মোট ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ফার্মার শেড করা হবে। কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকে ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি কমিউনিটি হল করা হবে। করিমপুর ১ ব্লকে ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি এসি অ্যাম্বুলেন্স কেনা হবে। কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকে ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি কমিউনিটি হল করা হবে। তেহট্ট ১ ব্লকে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করে একটি ট্রেনিং সেন্টার হবে। চাপড়ায় ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সাব হেলথ সেন্টার হবে। তেহট্টতেও একটি হেলথ সেন্টার হতে চলেছে। রানাঘাট ২ ব্লকে ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে শেল্টার কাম কমিউনিটি হল হবে। এছাড়া, সাতটি ব্লকের একাধিক রাস্তা, ফার্মার শেড, পানীয় জলের ব্যবস্থা, নদী বাঁধ সংস্কারের কাজ করা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, এই টাকায় বিএসএফের তরফেও কিছু কাজ করার ব্যাপারে প্রস্তাব দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট কমিটি সেই কাজগুলি খতিয়ে দেখে। মূলত দেখা হয়, এলাকাবাসীর উন্নয়নে ওই কাজগুলি ঠিকমতো হচ্ছে কিনা। এবারও বিএসএফের তরফ থেকে একাধিক প্রকল্প জমা পড়েছে। এখন টাকা আসলেই ধাপে ধাপে সব কাজ শুরু হয়ে যাবে।