ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
এ ব্যাপারে কান্দি পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের অপূর্ব সরকার বলেন, পুজোর আগে পুরসভা এলাকা যানজটমুক্ত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। কারণ, পুজোর সময় এখানে প্রচুর দর্শনার্থী আসেন। তাঁদের যাতায়াতের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই কারণে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কার্যত গোটা বছর শহরের প্রধান রাস্তাগুলি জবরদখল হতে বসেছে। তাই পুরসভা থেকে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে যাতে বাসিন্দারা ওই সব সমস্যা থেকে মুক্তি পান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যানজট ও রাস্তা জবরদখল করে ব্যবসা করায় শহরের বাসিন্দাদের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। শহরের নেতাজি বাস টার্মিনাস থেকে আদালত চত্বর পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে বহু জায়গায় প্রচুর ব্যবসায়ী জবরদখল করে ব্যবসা করছেন। বিশেষ করে বাস টার্মিনাস থেকে কান্দি থানার মোড় পর্যন্ত পথচারীদের ঠিকভাবে চলাফেরা করা দায় হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাস টার্মিনাস পার হতেই দু’পাশে প্রায় ১০০ মিটার এলাকাজুড়ে ফল ব্যবসায়ীদের দাপট লেগে রয়েছে। এরপর সব্জি বিক্রেতা, কাপড়ের দোকান, তেলেভাজা সহ বিভিন্ন ধরনের ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দাপট লেগে রয়েছে। যার ফলে দিনের ব্যস্ততম সময়ে ওই রাস্তায় যানজট লেগে থাকে। যানজটের কারণে আটকে পড়ে অ্যাম্বুলেন্স থেকে পুলিসের গাড়িও।
একইভাবে গাঁজার মোড়, হাসপাতাল মোড়, কলেজ মোড়, স্কুলমোড়, বিশ্রামতলা, আদালত চত্বর এলাকায় দিনের বিভিন্ন সময় যানজট লেগে থাকে। পুজোর সময় সেই যানজট আরও বড় আকার নেয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা দুর্গাপ্রসাদ রায় বলেন, কান্দি শহরে যানজট দিনদিন বেড়ে চলেছে। আমাদের মতো প্রবীণদের চলাফেরা করা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামান্য অসতর্ক হলেই দুর্ঘটনা হচ্ছে।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, শহরে যানজটের আরও একটি অন্যতম কারণ বেপরোয়া বাইক চলাচল। কোনও রাস্তায় সামান্য জানজট হলে সেখানে বাইক আরোহীরা এমনভাবে বাইকগুলি দাঁড় করাচ্ছেন যাতে যানজট ছাড়াতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পুলিসকে। এদিকে বাইক আরোহীদের দাপট রুখতে সম্প্রতি কান্দি থানার পুলিস লাগাতার চেকিং পয়েন্ট খুলে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করে। কয়েকদিনে শতাধিক বাইক আটক করা হয়। কিন্তু চেকিং পয়েন্ট বন্ধ করতেই সমস্যা ফিরে এসেছে।
সম্প্রতি পুরসভা ও কান্দি থানার পুলিসের পক্ষ থেকে শহর যানজটমুক্ত করার জন্য একটি সচেতনতা সভা করা হয়। সেখানে রাস্তা দখল করে ব্যবসা করা বাসিন্দাদের উঠে যাওয়ার আবেদন করা হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, সম্প্রতি বহরমপুর শহরে বিভিন্ন রাস্তায় ফুটপাত দখলকারীদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। এবার সেই রাস্তায় হাঁটতে চলেছে এই পুরসভাও। ফুটপাত ব্যবসায়ী রহমত শেখ, পীযুষ সরকার প্রমুখ জানান, ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করার তাঁদেরও ইচ্ছে নেই। কিন্তু তার আগে পুরসভাকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ করা হলে, তাঁরা আন্দোলনে নামবেন।