পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা এতটাই প্রশিক্ষিত যে, দীর্ঘদিন পুলিসি জেরা সত্ত্বেও তারা ভেঙে পড়েনি। উল্টে পুলিসকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু পুলিস সর্বশক্তি দিয়েই মূল পাণ্ডাকে ধরার চেষ্টা করছে বলে দাবি।
ডিসি(পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, মূল পাণ্ডা এখনও অধরা। আমরা তাকে ধরার চেষ্টা করছি। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সেনাবাহিনীর চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করার অভিযোগে বুদবুদ থেকে চার কলকাতার বাসিন্দার গ্রেপ্তারের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত যে বিভাগ সেখানকার নাম করেও প্রতারণা চক্র ফাঁদ পেতে সর্বত্র উদ্বেগ ছড়ায়। সেই সময় পুলিসের ধারণা ছিল, বুদবুদ এলাকায় এর বেশি জাল বিস্তার করেছিল। পরে তদন্তে উঠে এসেছে এই চক্র মূল বিস্তার লাভ করেছে কলকাতা এলাকায়। পুলিসের দাবি, সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের কাছেই এই চক্রের প্রথম হদিশ যায়। তারাই পুলিসের সহযোগিতা নেয়। টোপ দিয়ে চক্রের লোকজনদের আনা হয়। বুদবুদে সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় চারজনকে। চারজন গ্রেপ্তার হলেও এই চক্রের মাস্টার মাইন্ড ধরা পড়েনি। পুলিস এরপর পার্কস্টিটে হানা দেয়। সেখান থেকে বহু নথি, ল্যাপটপ উদ্ধার করে। তদন্ত করতে গিয়ে পুলিস জানতে পারে, এই চক্রের মূল পাণ্ডার আস্তানা ছিল সল্টলেক। সেখানে হানা দেওয়ার আগেই সে বেপাত্তা হয়ে যায়। বেশ কয়েক বছর ধরে বহু চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে প্রতারণা করেছে এই চক্র। মূলত সরকারি চাকরির কোচিং সেন্টারগুলির দিকে বাড়তি নজর ছিল এই চক্রের। সেক্ষেত্রে দরিদ্র ছেলেরা যারা সেনাবাহিনীতে যেতে প্রস্তুত, তাদেরই অনভিজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে নিজেকে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পরিচয় দিয়ে হাজির হত মূল পাণ্ডা। এরপর চলত মগজধোলাই। যেহেতু গরিব ঘরের ছেলেরা তাদের বেশি টার্গেট ছিল, তাই অর্থের দাবি কমই করত এই চক্র। তবে সংখ্যায় যথেষ্ট রয়েছে বলে পুলিসের ধারণা। পুলিস এখন হন্যে হয়ে মূল পাণ্ডার খোঁজে নেমেছে।